কলকাতাঃ চিৎপুর বা কলকাতা স্টেশন… দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক রেলওয়ে টার্মিনাস, যেটি কিনা কলকাতায় অবস্থিত। এই রেলওয়ে স্টেশনটি শহর তথা দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়ে উঠেছে। এই রেল স্টেশনে প্রতিদিন কয়েক হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এই স্টেশনটি এখন আন্তর্জাতিক তকমা পেয়েছে, কারণ এখান থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়ে। তবে এই রেল স্টেশনের মুকুটে আরও এক নয়া পালক জুড়ল। এই রেল স্টেশনে একদম বিমানবন্দরের ধাঁচে নতুন পরিষেবা শুরু হল। এই পরিষেবা শুরু হওয়ার পর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে চোখে নিমিষে।
বিশেষ পরিষেবা শুরু
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই স্টেশনে কী পরিষেবা শুরু হয়েছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, এই কলকাতা স্টেশনে একদম বিমানবন্দরের ধাঁচে টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণ এবং যাত্রী পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় দেখাশোনার জন্য বিশেষ অ্যাপ পরিষেবা শুরু হল। এই বিশেষ অ্যাপের জন্য আর রেল আধিকারিকদের দ্বারস্থ হতে হবে না। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই নিজেদের সমস্যার কথা সকলের সামনে তুলে ধরতে পারবেন যাত্রীরা।
কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস প্রবর্তনের পরে চিতপুর নামে একটি অখ্যাত শহরতলির স্টেশন থেকে আন্তর্জাতিক টার্মিনাসে উন্নীত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখানে কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেসও চলাচল করে। এই রেল স্টেশনটি দুই বাংলারই মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে যাতায়াতের জন্য এই স্টেশন ব্যবহার করেন।
খুশি রেল যাত্রীরাও
আর কোথাও চিঠি চালাচালি বা ফোন কতে হবে না রেল কর্তৃপক্ষকে। এবার শুধুমাত্র অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন বিভাগের সুপারভাইজারের কাছে। তিনিও যদি আবার ব্যবস্থা না নেই তাহলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জমা পরবে। রেল সূত্রে খবর, স্টেশনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচ্ছন্নতা,স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন খারাপ, চলমান সিঁড়ি কাজ করছে না, টিকিট কাউন্টার বন্ধ , টিকিট সংরক্ষণ, ট্রেন চলাচল-সহ প্রায় ১২ রকম কাজের ৭০০-রও বেশি সমস্যাকে অ্যাপের নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এবার বদলাচ্ছে শিয়ালদা স্টেশনের নাম? ৬ জুলাই বড় পদক্ষেপ
এখানে একটি বিষয় বলে রাখা জরুরি, ফোনে অ্যাপ নামানোর দরকার পরবে না যাত্রীদের। স্টেশনের বিভিন্ন জায়গায় বসানো কিউআর কোড স্ক্যান করেই আপনি আপনার অভিযোগ জানাতে সক্ষ্ম হবেন।