প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রতিটি রাজ্যে প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো যত উন্নত হচ্ছে ততই পরিবেশের হাল যেন নিম্নমুখী হচ্ছে। ক্রমেই বাড়ছে দূষণ। মাটি দূষণ, শব্দ দূষণ, দৃশ্য দূষণ, বায়ু দূষণ তো রয়েছেই। এমনকি বাদ যাচ্ছে না জলও। তাই এবার এই বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পশিমবঙ্গ সরকার। দেশে প্রথম এনজি ইলেকট্রনিক ফেরি ভেসেলের পথ চলা শুরু হচ্ছে বাংলায়। যা নিতে বেশ খুশি রাজ্যবাসী।
দেশের প্রথম ইলেকট্রিক ভেসেল!
আসলে বর্তমানে যে ধরনের ভেসেল চালানো হয় তা ব্যাপক পরিমাণে জল এবং বায়ুদূষণ ঘটায়। তাই এই দূষণ পুরোপুরিভাবে বন্ধ করতে ইলেকট্রিক ভেসেল বা ফেরি ব্যবহার করতে চলেছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেলবেলায় মিলিনিয়াম পার্ক থেকে এই অত্যাধুনিক ই- ভেসেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে চলেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভেসেলগুলি বানাতে রাজ্যের খরচ হয়েছে ৬ কোটি টাকা। এবং এই ভেসেলটি প্রায় ২৪ মিটার দীর্ঘ। এসি এবং নন এসি দুটো বিভাগই থাকছে ই – ভেসেলটিতে। এসি বিভাগের ৩০ জন যাত্রী এবং নন এসি বিভাগের ৬২ জন যাত্রী যাত্রা করতে পারবেন ভেসেলটিতে।
এই লঞ্চ তৈরি করা হয়েছে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের পক্ষ থেকে। এই মুহূর্তে রাজ্যে রয়েছে ৩৭ টি ডিজেল চালিত লঞ্চ।আর এই ভেসেলটি চলবে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে বেলুড়মঠ হয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। পরিবহণ দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মোট ১৫০ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা রাখে এটি। একটি লঞ্চ চালাতে ঘণ্টায় ১০ লিটার ডিজেল খরচ হয়। সেখানে ইলেকট্রিক ব্যাটারি চালিত এই ভেসেল দু ঘণ্টা পর্যন্ত বা ৩০ কিমি পথ একটানা চলতে পারবে। জানা গিয়েছে আগামী দিনে ডিজেল চালিত লঞ্চ কমিয়ে বিদ্যুৎ চালিত আরও ভেসেল বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের।
কী বলছেন পরিবহন মন্ত্রী?
এরফলে একদিকে যেমন জ্বালানি খরচ কমবে, তেমনি দূষণ কমবে। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “পরিবেশ দূষণ কমাতে বিদ্যুৎ চালিত এই ই ভেসেল বিশেষভাবে সাহায্য করবে। এর ফলে যাত্রীরা যেমন নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবেন ঠিক তেমনই অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন।” এছাড়াও তিনি আরও জানিয়েছেন যে আগামী দিনে আরও ১২টি ই-ভেসেল এবং ১২ টি বার্জ চালানো হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।