শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: ট্রেনে উঠে বাথরুম পেলেও কোনো সমস্যা নেই। বিশেষ করে লোকাল ট্রেনে ওঠার পর প্রকৃতির ডাক পেলে অসুবিধা নেই। কারণ শোনা যাচ্ছে যে এবার রেলের তরফে যাত্রীদের স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে বাথরুম করার সময় দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে বাথরুম ছাড়াই শিয়ালদা লালগোলা প্যাসেঞ্জারে যাত্রা করতে হচ্ছে হাজার হাজার যাচ্ছিকে। ইএমইউ ট্রেনে এখনো অবধি কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। এই লাইনে প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও লোকাল ট্রেন এখন দুইই চলে। তবে বাথরুমের ব্যবস্থা না থাকার কারণে যাত্রা করতে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
তবে সম্প্রতি পূর্ব রেলের তরফে নাকি একগুচ্ছ ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে রানাঘাট স্টেশনে আগামী দিন থেকে লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেন দাঁড়াবে বেশ কিছুক্ষণের জন্য, যাতে যাত্রীরা টয়লেটে যেতে পারেন। প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি এরকম কোনো কাজ করতে চলেছে রেল? বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
রানাঘাটে দাঁড়াবে ট্রেন?
জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মুর্শিদাবাদের লালগোলা স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২২৭ কিলোমিটার। এত দিন ধরে লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে শৌচালয় যুক্ত কামরা থাকার কারণে সুবিধা হতো যাত্রীদের। তবে যাত্রীদের দাবি, সম্প্রতি শৌচালয় যুক্ত কামরা আর দেওয়া হচ্ছে না ট্রেনে। ফলে এতটা দীর্ঘ যাত্রাপথে শৌচকর্ম করতে না পারার জন্য বেজায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিনকে ঠেকাতে ফিলিপাইনের পর আরেক দেশ কিনবে ব্রহ্মোস
সূত্রের খবর, আগামী দিন থেকে রানাঘাট স্টেশনে ট্রেন কিছু সময় দাঁড় করানো হবে লালগোলা প্যাসেঞ্জার। অন্তত ৫ থেকে ১০মিনিট ট্রেন দাঁড় করানো হবে। যদিও অন্য কথা বলছে পূর্ব রেল, যা শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও।
আরও পড়ুনঃ UCO Bank-এ শয়ে শয়ে শুন্যপদে নিয়োগ! মিলবে DA, DR! স্নাতক হলেই করুন আবেদন
নতুন তথ্য দিল পূর্ব রেল
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিমান দত্ত যা জানালেন তা শুনে আপনিও চমকে যেতে পারেন। তিনি জানান, রানাঘাট স্টেশনে বেশিক্ষণ স্টপেজ দেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রস্তাব এসেছে, তবে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ যেহেতু রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মাঝেমধ্যে ট্রেনের রেক পরিবর্তন করা হয় বিভিন্ন রুটে। সেই কারণে এই ট্রেনে শৌচাগারযুক্ত কামরা এখন দেওয়া হচ্ছে না। তবে শীঘ্রই ফের শৌচাগারযুক্ত কামরা দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। এখন দেখার রেল কথা রাখে কিনা।