শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ট্রেন থেকে ওঠা ও নামার ক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছে সময় থাকবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড। গতকাল শুক্রবার পূর্ব রেলের তরফে জারি করা এমন বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। মূলত শিয়ালদা ডিভিশনের যাত্রীদের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। অফিস টাইমে এই সময়টা কীভাবে কভার হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান বেশিরভাগ মানুষ। পূর্ব রেলের এহেন সিদ্ধান্তে বেশিরভাগ মানুষই অখুশি। যদিও এবার এই ব্যাপারটা নিয়ে বড় দাবি করল পূর্ব রেল। আর পূর্ব রেল যা জানালো তা জানলে আপনারও চোখ কপালে উঠে যেতে পারে বৈকি।
বড় দাবি পূর্ব রেলের
উৎসবের আবহে গতকাল পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয় যে, শিয়ালদা ডিভিশনের কোনও স্টেশনে ট্রেন ৩০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়াবে না। যদিও এই বিষয়টি একদমই ভুল বলে সাফ সাফ জানিয়ে দিল পুরোপুরি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন অর্থাৎ আগের সময় মতো বিভিন্ন রেল স্টেশনে দাঁড়াবে। অর্থাৎ সামাজিক মাধ্যমে যে সকল খবর গুলি সম্প্রচারিত হয়েছে সেগুলি সবটাই ভুয়ো বলে জানিয়ে দিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন, ‘সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া-সহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিয়ালদা ডিভিশনের লোকাল ট্রেনের স্টপেজ সময় কমিয়ে ৩০ সেকেন্ড করা হয়েছে বলে একটি বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক। যাত্রীদের কাছে বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে, এমন ধরনের অপপ্রচারে বিশ্বাস করবেন না এবং বিভ্রান্ত হবেন না।’
একাধিক রিপোর্টে ভুয়ো দাবি
বেশ কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে প্রত্যেকটি রেল স্টেশনে ট্রেনের দারানোর সময় খাতায়-কলমে ৩০ সেকেন্ডই থাকত। ট্রেনগুলো আরেকটি একটু বেশি সময় দাঁড়াতো, বাড়তে বাড়তে সেই সময় ২ মিনিট অবধি হয়ে যেত। যে কারণে ট্রেন দেরিতে চলত। এই ব্যাপারটি রুখতে নাকি ৩০ সেকেন্ডের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল পুরোপুরি রেলের তরফে। যদিও সব ব্যাপারটা ভুয়ো বলে জানিয়ে দিয়েছে পূর্ব রেল।
বলা হয়, অফিস টাইমে ভিড় সামলাতে এবং দ্রুত প্রস্থান নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত বাণিজ্যিক ও রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) কর্মী মোতায়েন করা হবে। শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেন ম্যানেজারদের এই নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্টেশন মাস্টারদেরও প্রস্থানগুলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং কোনও অনিয়ম হলে বোর্ড নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে। তবে সবটাই ভিত্তিহীন।