‘যে কোনওদিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সায়নী ঘোষ।’ এহেন দাবিকে ঘিরে এবার রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গেল রীতিমতো। হাতেগোনা আর মাত্র ৫ দিন বাকি, তারপরেই শুরু হয়েছে যাবে লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যে সকলে কাউন্টডাউন অবধি শুরু করে দিয়েছেন। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন ভোটের প্রার্থীরা। তেমনই এখন নিজের কেন্দ্র যাদবপুরে এক প্রকার কোমর বেঁধে ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন সায়নী।
কিন্তু এরই মাঝে শোনা যাচ্ছে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে যাদবপুরের মতো শক্তিশালী কেন্দ্র থেকে তৃণমূল যে সায়নী ঘোষকে দাঁড় করানো হয়েছে এবার সেই নাকি গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে চলেছেন। ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী থেকে শুরু করে নেতা মন্ত্রিদের একে অপরকে আক্রমণের পালা যেন থামারই নাম নিচ্ছে না। কিন্তু এবার সায়নী ঘোষকে নিয়ে যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের দাবি ঘিরে সর্বত্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিজেপিতে যোগ দেবেন সায়নী ঘোষ?
প্রথম দফার ভোটের মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকতে সৃজন ভট্টাচার্য দাবি করে বসলেন, ‘যে কোনওদিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সায়নী ঘোষ।’ সায়নী ঘোষের মতো তিনিও যাদবপুরের অলি গলিতে গিয়ে মানুষের সমস্যার কথা শুনছেন সেইসঙ্গে প্রচারও চালাচ্ছেন। এদিকে এই প্রচার চলাকালীনই সৃজন ভট্টাচার্য জানালেন, ‘গোডাউন একটাই শোরুম দুটো।’ তিনি রাজপুর-সোনারপুরে দাঁড়িয়ে অতীতে হেভিওয়েটদের দলবদলের প্রসঙ্গ টেনে এনে জানান, ‘অর্জুন সিং, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী, বাবুল সুপ্রিয় এদের দেখলেই তো ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। বিজেপির যে কেউ যে কোনওদিন তৃণমূলে চলে আসতে পারে।’
আরও পড়ুনঃ ফ্রি রেশন থেকে বিদ্যুৎ, চিকিৎসা ও UCC লাগু করার প্রতিশ্রুতি! ইস্তেহারে চমক বিজেপির
এরপরেই বামেদের প্রার্থী আসল বোমাটা ফাটান। সৃজন জানান, ‘সায়নী ঘোষ সহ টিএমসির যে কেউ বিজেপিতে চলে যেতে পারেন।’ সম্প্রতি সায়নী ঘোষ প্রচার চলাকালীন বামেদের আক্রমণ করে বলেন, ‘৩৪ বছর ধরে হাতে ধরে যারা পশ্চিমবঙ্গকে শেষ করেছে, যারা পশ্চিমবঙ্গকে তছনছ করেছে, মানুষকে ধোকা দিয়েছে, সন্ত্রাস করেছে, আজ তারাই বলছে আমাদের সুযোগ দিন, আমরা লাল ফেরাবো হাল ধরবো। তারা বলছে তো ৩৪ বছরে আপনারা এমন হাল ফিরিয়েছেন যে মানুষ আর ফেরাতে চাইছেন না। গত ১০ বছরে এমনভাবে সিপিএম গর্তে ঢুকে গিয়েছে যে বিজেপিকে ঢোকার রাস্তা করে দিয়েছেন।’