প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: একে মূল্যবৃদ্ধি তার উপর কর্মসংস্থানের অভাব। বিশ্বজুড়ে চলতে থাকা মন্দার প্রভাবে গত কয়েক বছর থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নামী-দামি কোম্পানিতে কর্মী ছাঁটাই হয়েই চলেছে। যার ফলে একের পর এক চিন্তার ভারে রীতিমত কালঘাম ছুটছে সাধারণের। আর এবার তারই মাঝে কলকাতায় চাকরি প্রার্থীদের জন্য নিয়ে আসা হল এক বিরাট সুখবর। এবার বাইরের দেশের বিরাট আইটি কোম্পানির অফিস খুলতে চলেছে কলকাতায়।
বিরাট আইটি কোম্পানি অফিস খুলল কলকাতায়
২০২০ সাল থেকে করোনো মহামারী চলাকালীন যেখানে কলকাতার অন্যতম কর্মস্থল সেক্টর ফাইভ এলাকায় অফিসের জায়গার চাহিদা একেবারে নিম্নমুখী ছিল যা সত্যিই খুবই চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। অবশেষে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে। বর্তমানে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেড়েছে কলকাতার আইটি হাব সল্টলেক সেক্টর ফাইভে অফিসের জায়গা। ইঙ্গিত মিলেছে কলকাতায় বেশ কিছু নতুন কোম্পানি আসার কারণেই সামগ্রিকভাবে আইটি সেক্টরের চাকরির বাজারের গ্রাফ দিনের পর দিন ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। আর এই আবহে ইউকের এক বিরাট আইটি কোম্পানি অফিস খুলল কলকাতায়।
RedoQ গ্রুপের নতুন অফিস কলকাতায়
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার অ্যানড্রিউ ফ্লেমিং উদ্বোধন করেন ব্রিটেন ভিত্তিক আইটি সংস্থা RedoQ গ্রুপের নতুন অফিস। অনেক বছর ধরেই এই কোম্পানি খোলার পরিকল্পনা চলছিল। অবশেষে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। সূত্রের খবর, এই কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আর আগামী দু’বছরে তাদের লক্ষ্য হবে প্রায় ১৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা।
আরও পড়ুনঃ রোগীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার না করলে … এবার শেষ হবে নার্সদের দিদিগিরি, কড়া বার্তা স্বাস্থ্যভবনের
বিনিয়োগ হবে বিপুল অর্থ
২০১০ সালে এই RedoQ গ্রুপ প্রথম চালু হয়েছিল। ফিনটেক, ফার্মাসিউটিক্যাল, খাদ্য ও পানীয় এবং ব্র্যান্ডিং ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর ফোকাস করেছিল এই সংস্থা। এরপর ধীরে ধীরে সেই কোম্পানি একাধিক সেক্টরে তাদের শাখা বিস্তার করা শুরু করে। বর্তমানে অন্তত সাতটি দেশে তাদের শাখা ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে আরও দেশে তাদের শাখা খুলতে চাইছে। বিজনেস ইকোনমির প্রতিবেদন মারফৎ জানা গিয়েছে চলতি বছর RedoQ গ্রুপ অন্তত ৫০০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করবে কলকাতার কোম্পানির জন্য। এবং সামনের বছর তারা ১০০০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কবে কতটা বাড়বে DA ও বেতন? অষ্টম পে বেতন কমিশন লাগু নিয়ে নয়া আপডেট
এদিন ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার অ্যানড্রিউ ফ্লেমিং ও মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এর মধ্যে নানা পারস্পরিক মত বিনিময় হয়ে থাকে। আর এই নয়া সূচনা রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলা তথা ভারতের তথ্য প্রযুক্তি দুনিয়ার ক্ষেত্রেও এটি এক বিরাট খবর। জানা গিয়েছে ভারত এবং ইউকে মিলিয়ে এই কোম্পানি ৬০০,০০০ চাকরি তৈরি করেছে। তাই এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে আগামী কয়েক বছরে রাজ্যে কর্মসংস্থানের ঘাটতি অনেকটাই কমবে।