সহেলি মিত্র, কলকাতা: ফের শিরোনামে ক্যানিং-এর মেধাবী ছাত্র সায়ন নস্কর (Sayan Naskar Canning)। সায়ন নস্কর যে কিনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত থেকে শংসাপত্র পেয়েছিলেন ‘বধাই হো’ বলেছিলেন। নিশ্চয়ই ভাবছেন কেন? তাহলে জানিয়ে রাখি, এই সায়ন ITI-তে ৬০০-র মধ্যে ৬০০ পেল। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে কেউ যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারে। আর সেই কথাই প্রমাণ করেছেন সায়ন।
ITI -তে ৬০০-র মধ্যে ৬০০ পেয়ে তাক লাগাল বাংলার যুবক
দারিদ্র্য সাফল্যের পথে কোনও বাধা নয়। ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের তালদির বাসিন্দা সায়ন নস্কর (২১) ঠিক সেই সাফল্যই অর্জন করেছেন। সে পূর্ব ভারতে আইটিআই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। তার কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ, গত ৪ঠা অক্টোবর দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাকে একটি শংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করেছেন। তারপর থেকে সে খবরের শিরোনামে।
রিপোর্ট অনুসারে, সায়নের পরিবার দরিদ্র। তার মা, রীনা নস্কর, একজন আশা কর্মী, অন্যদিকে তার বাবা, সুব্রত নস্কর, একটি ছোট দোকান চালান। ছোটবেলা থেকেই একজন মেধাবী ছাত্র, সায়ন সর্বদা তার পড়াশোনায় কৃতিত্ব দেখিয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। এবার, সে পূর্ব অঞ্চলে আইটিআই পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অর্জন করে সকলকে মুগ্ধ করেছে। সে তার বাবা-মায়ের সাথে তালদি এলাকায় একটি ছোট বাড়িতে থাকে। তার বাবা-মা প্রায়শই পরিবারকে সাহায্য করার জন্য সংগ্রাম করেছেন। খবর অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের আইটিআই ইনস্টিটিউটের কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করেন। তবে প্রতি বছর কিন্তু আবার প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য হাজির থাকেন না। কিন্তু এ বছর ছিলেন আর সায়নকে পুরস্কার প্রদান করে ‘বধাই হো’ অবধি বলেন।
কী বলেছে সায়ন?
নিজের জীবন সংগ্রাম প্রসঙ্গে সায়ন বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা-মায়ের কঠোর পরিশ্রম দেখেছি। স্কুল শেষ করার পর, আমি ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজে ভর্তি হই। স্নাতক শেষ করার পর, আমি ক্যানিংয়ের ১ নম্বর ব্লকের আইটিআই কলেজে ভর্তি হই, যেখানে আমি কম্পিউটার অপারেশন এবং প্রোগ্রামিং পড়া শুরু করি। এক বছর পর, আমি এই বছরের জুলাই মাসে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সেপ্টেম্বরে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল এবং আমি ৬০০ এর মধ্যে ৬০০ নম্বর পেয়েছি। আমি বর্তমানে রেলওয়েতে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”