প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ভাঙচুর, তারপর শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় এক পড়ুয়ার গুরুতর জখম হওয়া সব মিলিয়ে গত শনিবার থেকে রীতিমত রনভূমিতে পরিণত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে চোখে আঘাত নিয়ে রীতিমত হাসপাতালে ভর্তি ইংরেজি অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়। অবস্থা এইমুহুর্তে খানিক স্থির থাকলেও আতঙ্কের চিহ্ন এখনও মুছে যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আহত ছাত্রের পরিবারকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
গোটা ঘটনাই শুধুমাত্র অ্যাক্সিডেন্ট!
এদিন আহত ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবা অমিত রায়কে ফোন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই বিষয়ে জখম ইন্দ্রানুজ রায়ের মা বর্ণালী রায় বসু বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী কালকে ফোন করেছিলেন ওর বাবাকে। উনি নিজে ভীষণ দুঃখপ্রকাশ করেছেন এরকম ঘটনায়। এটাও বলেছেন যে ইন্দ্রানুজ একটু সুস্থ হোক তারপর উনি কথা বলবেন ওঁর সঙ্গে। উনি খুবই দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আমি গোটা ঘটনাকে অ্যাক্সিডেন্ট হিসেবেই দেখছি, ইচ্ছাকৃত নয়। কিন্তু ধাক্কাটা ওই গাড়িটাতেই লেগেছে।” অন্যদিকে যাদবপুরকাণ্ডে আহত ইন্দ্রানুজের বাবা অমিত রায় বলেন, “আমরা চাই প্রত্যেকের পদ থাকুক। বরং প্রত্যেকের যার যা পদ আছে সকলেই যেন পদমর্যাদাটাকে মাথায় রাখি। আমাদের পদের যে মর্যাদা আছে, সেইটাকে যাতে আমরা রক্ষা করতে পারি।”
নিজের অভিযোগে অনড় ইন্দ্রানুজ
তবে বাবা মা গোটা বিষয়টাকে অজান্তে অ্যাক্সিডেন্ট হিসেবে দেখলেও পুরোটাই যে ইচ্ছাকৃত ঘটনা এমনই দাবি করছেন আহত ইন্দ্রানুজ রায় নিজেই। গতকাল ইন্দ্রানুজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে জানিয়েছেন যে, “আমরা আলোচনা করার ব্যবস্থা করার সাথে সাথেই ওখানে তৃণমূলের বাকি কর্মীরা হামলা শুরু করে এবং মন্ত্রীকে গাড়িতে তুলে দেন। গাড়ি চালু হয়নি তখনও আমরা সামনে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন তৈরি করলাম। কিন্তু উনি সেটা সত্ত্বেও গাড়ির চালককে নির্দেশ দিলেন গাড়িটাকে চালিয়ে নিয়ে যেতে।” এমনকি যে ডাক্তার ইন্দ্রানুজ এর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি নিজেও বলেন যে এই আঘাত কোনো ফাইন কাট নয়। এটা আসলে স্ম্যাশড। একমাত্র কোনও ভারী কিছুর ধাক্কা লাগলে থেঁতলে গেলেই এটা হয়, যেটা কিনা ইন্দ্রানুজের চোখের সাইডটা হয়েছে। ফলে বয়ান আলাদা হওয়ায় যাদবপুর কাণ্ডে বিতর্ক ফের অন্য রূপ নেয়।
আরও পড়ুনঃ নবান্নর নির্দেশে লটারি লাগল সিভিকদের, কয়েকশ হোম গার্ডের নিয়োগ কলকাতা পুলিশের
ক্যাম্পাসে সাসপেন্ডের অভিযোগ উঠল
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা বিতর্কের মাঝেই অধ্যাপক ও তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠনের নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্রের নামে এবার পোস্টার পড়ল ক্যাম্পাসে। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলা হয়। সেই পোস্টারে তাঁকে সাসপেন্ড করা ও ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে চুপ থাকেনি ওমপ্রকাশ। পাল্টা ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অন্তবর্তী উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করে ওমপ্রকাশ মিশ্র সেই চিঠিতে লিখেছেন, তাঁর নামে পড়া পোস্টার সরিয়ে, তিনি যাতে নিজের অফিসে কোনও বাধা ছাড়াই ঢুকতে পারেন সেই দায়িত্ব যেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেয়
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |