ছোট থেকেই মেধাবী! যাদবপুরের পড়ুয়া অনামিকার মদ্যপান তত্ত্ব মানতে নারাজ প্রতিবেশীরা

Published on:

Jadavpur University

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর ক্যাম্পাসে (Jadavpur University) এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর পরিচয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।

ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ

পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, অনামিকা মণ্ডল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাড়ি বেলঘরিয়া নিমতা এলাকায়। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। অনামিকা নাকি সেখানেও ছিল। কিন্তু রাত ১০টা ২০ নাগাদ পুকুরে তাঁকে ভাসতে দেখেন ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা। তার পর উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী কেপিসি হাসপাতালে। সেখানে অনামিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর ফলে গতকাল রাতে কী কী ঘটেছিল, তা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন হিসেবে উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

সিসি ক্যামেরায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে তথ্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে ইউনিয়ন রুমের পাশ দিয়ে পুকুরপাড় বরাবর একটি সরু রাস্তা আছে। সেখান দিয়ে গেলেই নাকি শেষ প্রান্তে রয়েছে দু’টি শৌচাগার রয়েছে অনামিকা সে দিকে গিয়েছিলেন কি না, সেখান থেকে পুকুরে পড়ে গিয়েছেন কি না, সম্পূর্ণটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেট দিয়ে ঢুকেই বাঁ দিকে কলা বিভাগের বিল্ডিং এও ইংরেজি বিভাগ রয়েছে। ওই বিল্ডিংয়ের মুখেই রয়েছে একটি সিসি ক্যামেরা। তা চার নম্বর গেটের দিকে তাক করা। এ ছাড়াও, সিকিউরিটি রুমের কাছে একটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে এবং কলা বিভাগের দিকে রয়েছে আরও একটি সিসি ক্যামেরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কী ঘটেছিল, তা এই সমস্ত ক্যামেরায় ধরা পড়ে থাকতে পারে। তাই সব কটা ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বাংলায় এই প্রথমবার দেখানো হবে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস! কবে কোথায় জানুন

সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এই অনামিকা মণ্ডল নাকি ছোট থেকেই বেশ মেধাবী ছিলেন। সেই মেয়ের এমন পরিণতি হবে তা কল্পনাও করতে পারেনি মিষ্টু ওরফে অনামিকার। কান্নায় শোকাহত এলাকাবাসী। পাড়ার শান্ত মিষ্টুর এই পরিণতি মানতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারাও। প্রতিবেশীদের কথায়, “আমরাও ওকে খুব ভালোবাসি। বরাবরই হাসিখুশি। দেখা হলেই কথা বলত। ছোটো থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো। ওর এমন পরিণতি হতে পারে স্বপ্নেও ভাবিনি।” এদিকে অনামিকার মৃত্যুর নেপথ্যে উঠে আসছে মদ্যপানের তত্ত্ব। কিন্তু সেটাও মানতে নারাজ প্রতিবেশীরা। তাঁদের মতে যাদবপুরের নিরাপত্তার অভাবেই এক মেধাবী শান্ত ছাত্রীর এই পরিণতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

সঙ্গে থাকুন ➥