প্রীতি পোদ্দার, হুগলি: বড় বড় অফিসে চাকরি করার ইচ্ছা সকলেরই কম বেশি থাকে। আর সেই স্বপ্নের চাকরির মধ্যে অন্যতম হল মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফট-এ (Microsoft) চাকরি করা। এবার সেই ড্রিম জব কায়েম করল এক বঙ্গ তনয়া। বার্ষিক ৫৪ লক্ষ টাকার প্যাকেজে এবার মাইক্রোসফটে নিযুক্ত হতে চলেছে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও একবার গর্বিত গোটা বাঙালি।
মাইক্রোসফট-এ চাকরির সুযোগ তানিয়ার
কথায় আছে যত কঠিন কাজ হোক না কেন, অধ্যাবসা ও মনের জোর থাকলে কোন কঠিন কাজ করা অসম্ভব নয়। কারণ দিন শেষে তুমিই সফল হবে। ঠিক সেই রকমই চিন্তাভাবনা নিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের দৌঁড়ে নেমে পড়েছিলেন হুগলির ব্যান্ডেলের বাসিন্দা তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সাল থেকে পড়াশোনার সূত্রে জলপাইগুড়িতে রয়েছেন তানিয়া। বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। আগামী বছর বিটেক শেষ করবেন তিনি। এমতাবস্থায় মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফট-এর তরফ থেকে এল সুবর্ন সুযোগ। ওই অফার গ্রহণও করেছেন তানিয়া। জানা গিয়েছে কলেজ শেষ হলেই পাকাপাকিভাবে হায়দরাবাদের অফিসে যোগ দেবেন চাকরিতে।
গর্বিত বাবা মা শিক্ষক
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় মাইক্রোসফটে ইন্টার্নশিপের আগে গুগলে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছিলেন। ছাত্রীর এই সাফল্যে গর্বিত জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান ডঃ সুভাষ বর্মন। তিনি বলেন, ‘তানিয়ার সাফল্য আমাদের গর্বিত করেছে। কম্পিউটার সায়েন্সের প্রত্যেক পড়ুয়ার লক্ষ থাকে গুগল কিংবা মাইক্রোসফট-এ কাজ করার। আশা করছি, ভবিষ্যতে তানিয়ার মতো অনেকের স্বপ্নপূরণ হবে।’ এদিকে মেয়ের এই সাফল্যে আপ্লুত তানিয়ার বাবা ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি কিনা পেশায় এক শিল্পকারখানায় কাজ করেন এবং মা সংগীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘কলেজের অধ্যাপকদের অবদান ভোলার নয়। ইন্টার্নশিপ চলাকালীন ক্লাসে কী হচ্ছে, সব বিষয়ে ওকে সাহায্য করতেন। আমরা ওর সাফল্যে খুব খুশি।’
আরও পড়ুন: SIR আতঙ্কে আত্মহত্যা ডানকুনিতে! হুগলীর গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক তরজা
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসিং-এ বসে প্রায় দেড়শোর বেশি পড়ুয়া বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন। গত ১৪ জুলাই জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রী শ্রেয়া সরকার গুগলে বছরে ৫৪ লক্ষ টাকার চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ক্যাম্পাসিং-এ প্রথমবারের জন্য হাজির হতে চলেছে ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের মতো সরকারি সংস্থা। শুধুমাত্র মেধার জোরেই শ্রেয়া এবং তানিয়ার এত বড় সাফল্য গোটা কলেজের সন্মান যেন দ্বিগুণ হারে বাড়িয়ে দিয়েছে পাশপাশি কলেজের বাকি পড়ুয়াদের মনোবল যেন আরও শক্ত করেছে।












