উৎসবে পাঁচ জনের বেশি জমায়েত নয়, নির্দেশ মনোজ ভার্মার! হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা

Published on:

kolkata cp high court

দেবপ্রসাদ মুখার্জী: রাজ্যজুড়ে চলছে প্রস্তুতি। দুর্গাপুজোর আর বেশি দেরি নেই। আর এই উৎসবে মেতে ওঠার জন্য পুজো উদ্যোক্তা থেকে সাধারণ মানুষ সবাই চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতির মাঝেই কলকতাবাসীর উদ্দেশ্যে একটি নিয়ম জারি করলো কলকাতা পুলিশ। বুধবার রাতে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন যে, আগামী ২ মাস শহরের কিছু এলাকায় কোনো ধরনের বড় জমায়েত করা যাবে না। আর এতেই ক্ষুব্ধ অনেকেই। তাই রাত পোহাতেই পুলিশের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে একজোড়া মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে।

পুজোর সময় কলকাতায় জারি নতুন নিয়ম

পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ অনুযায়ী, কলকাতা শহর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত কলকাতা পুলিশের থানা এলাকাগুলিতে এই নিয়ম জারি করা হচ্ছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এইসব এলাকার যেকোনো জায়গায় একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি মানুষ চলাচল করা, দাঁড়ানো বা জমায়েত করা যাবে না। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারার আওতায় এই নিয়ম জারি করা হয়েছে। তবে মুশকিল বিষয় হল যে এই সময়ের মধ্যেই দুর্গাপুজো সহ আরও বেশ কয়েকটি উৎসব রয়েছে।

কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জোড়া মামলা

কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলা করা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে এবং অপরটি দায়ের করা হয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠনের তরফে। মামলাকারীদের দাবি, এই নিষেধাজ্ঞা পুজোর সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নয়, বরং আন্দোলন রোধ করার জন্য জারি করা হয়েছে। মামলাকারীদের প্রশ্ন, পুজোর সময় কি মানুষ ঘর থেকে বেরোবে না? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট মামলাগুলি গ্রহণ করেছে এবং শুক্রবার এই একজোড়া মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কেন এমন নিয়ম জারি করলো কলকাতা পুলিশ?

প্রশ্ন হচ্ছে যে কেন এই নিয়ম জারি করলো কলকাতা পুলিশ? পুলিশের দাবি, আগামী কয়েক সপ্তাহে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে বৌবাজার, হেয়ার স্ট্রিট, এবং ধর্মতলা এলাকায় কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যেখানে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। এছাড়াও, কারও হাতে লাঠি বা ক ও অস্ত্র পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন দেখার বিষয়, আদালত কী রায় দেয় এবং এর ফলে পুজোর সময় মানুষ কীভাবে এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে।

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X