অনশনের পর আরেকটি বড় কর্মসূচি ঘোষণা ডাক্তারদের! বড় ঝটকা খেতে চলেছে সরকার

Published on:

nyay bichar yatra program

প্রীতি পোদ্দার: ১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখনও জারি রয়েছে। প্রথম থেকেই তিলোত্তমার বিচারের এই আন্দোলনকে সব মহল কার্যত সমর্থন করে চলেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্টরা, একে একে সকলেই তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এইভাবে জনসাধারণের এই পাশে থাকার আশ্বাস দেখে আপ্লুত গোটা চিকিৎসামহল। যার ফলে আগামী দিনে আরও বড় কর্মসূচির চিন্তাভাবনা করতে চাইছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর এই আবহেই এবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল জুনিয়র ডাক্তাররা।

নয়া কর্মসূচির ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

WhatsApp Community Join Now

জুনিয়র ডাক্তারদের সূত্রে জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে নারী সুরক্ষার বিষয়টি বরাবর উপেক্ষিত হয়ে আসছে। আর তাই এই বঞ্চনার খুঁটি উপড়ে নেওয়ার জন্য তাঁদেরকেই লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাই বাংলার বিভিন্ন জায়গায় একই দিনে সমস্ত নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করার আবেদন করা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে। তাঁরা হতাশ হয়ে জানিয়েছেন যে এতদিন ধরে যে মানবিক সরকারের কথা বলা হত সেই সরকারের যে অমানবিক মুখ আমরা এই সংকটের সময় দেখছি তা সত্যিই বেদনাদায়ক। সেই সূত্রেই আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।

‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচির ডাক এবার গ্রামে গ্রামে

জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়েছে অনশনকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু কখন হবে এই ন্যায় বিচার যাত্রা, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নিজেদের ১০ দফা দাবির বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতামত নিতে যে ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ধর্মতলার চার প্রান্ত ছাড়াও এবার গ্রামে গ্রামে গিয়েও ‘গণস্বাক্ষর’ নেওয়ার ভাবনায় রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুনঃ দীপাবলির আগে মহিলারা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাবেন ৩০০০ টাকা, বড় ঘোষণা সরকারের

আসলে জুনিয়র ডাক্তারদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে এই ‘গণস্বাক্ষর’ নেওয়ার মূল কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে যে জনসাধারণের এই আন্দোলনকে গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তবে এই কর্মসূচি কবে থেকে শুরু হবে বা তার রূপরেখা কী হবে, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। এদিকে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যার ফলে একাধিক ডাক্তার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও আটকে যায়নি অনশন। বরং কেউ না কেউ অনশনে নতুন করে যোগ দিচ্ছেন। এবার দেখার পালা প্রশাসন কতদিন চুপ করে থাকে।

সঙ্গে থাকুন ➥