লাগাতার ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানির পর শুনানি চলছে। এই মামলায় বহু হেভিওয়েটকে গ্রেফতার অবধি করা হয়েছে। তারপরেও যত সময় এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি নিয়োগ দুর্নীতির অতল গভীর রহস্যের খোঁজ চালাচ্ছে। যদিও এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির বিরুদ্ধে এবার বড়সড় অভিযোগ উঠল।
ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডির বিরুদ্ধে বেজায় চটল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার রেগেমেগে ইডিকে চরম নির্দেশ দিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শুনানি চলাকালীন আচমকাই মেজাজ হারান হাইকোর্টের দাপুটে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অমৃতা সিনহা ইডির ডিএসজি ধীরজ ত্রিবেদীকে উদ্দেশ্য করে জানালেন, ‘আপনার আধিকারিকরা গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। দয়া করে তাঁদের সাবধানে কাজ করতে বলুন।’
ব্যাপার কী
আসলে দুর্নীতি মামলায় আদালতে ইডি দাবি করে যে, চাকরির বিনিময়ে যে টাকা তোলা হয়েছে, তা একজনের নামে তুলেছেন অপর এক ব্যক্তি। তবে তাদের নাম বলেননি ইডির আইনজীবী।আর এতেই বেজায় চটে যান জাস্টিস অমৃতা সিনহা। ইডির আধিকারিকরা ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে না বলে দাবি করেন অমৃতা সিনহা। এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এই মামলায় সাক্ষী ও অভিযুক্ত সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি?’ বলে রাখি, এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গত সেপ্টেম্বরে তলব করেছিল ইডি। তবে তাদের কেউই হাজিরা দেননি।
ইডির আইনজীবী জানান লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। সব মিলিয়ে ১৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বুধবার এই মামলার শুনানি চলছিল। ইডির আইনজীবী আরও বলেন, ওই বিষয়টি সিবিআই তদন্ত করছে। এদিকে পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরির বিনিময়ে মূল সুবিধাভোগীর হয়ে অন্য একজন টাকা তুলেছেন বলে জানা গিয়েছে। এত কিছুর পরেও বিচারপতি বলেন, ‘সেসব আমি জানি। কিন্তু কী ভাবে এই টাকা তারা উপার্জন করল তা জানতে হবে ইডিকে।