প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের হাইকোর্টের কাছে বড় ধাক্কা রাজ্যের! OBC সংক্রান্ত মামলার রাজ্যের নতুন বিজ্ঞপ্তির পর এবার এসএসসি (SSC) চাকরিহারা ‘গ্রুপ-সি’, ‘গ্রুপ-ডি’ কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল আদালত। বিচারপতির তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে এই মামলায় রাজ্যকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে। জানা গিয়েছে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ।
শিক্ষাকর্মীদের ভাতা নিয়ে বিস্ফোরক রায়
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের পর রাজ্য জুড়ে তাণ্ডব শুরু হয়েছিল। এরপর গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে ২৫ হাজার ও গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। আর তাতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিস্ফোরক রায় প্রদান করেন।
কাজের নিরাপত্তায় আশ্বাস দিচ্ছে না রাজ্য!
এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরি বাতিলের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “শীর্ষ আদালতের রায় অপছন্দ হলেও সবাইকে মানতেই হবে। দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের যে বিশ্বাস রয়েছে তা কোনওভাবেই নষ্ট করা যাবে না। রাজ্যের স্কিম, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে শীর্ষ আদালতের রায়কে অতিক্রম করে যেতে চেয়েছে, যার দরুন এই সিদ্ধান্ত।”
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, দুর্নীতির জন্য যাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তাদের টাকা দেওয়া হতে চলেছে। অর্থাৎ এই ভাতার মাধ্যমে রাজ্য কাজের নিরাপত্তার কোনও আশ্বাস দেয়নি।
বিস্ফোরক মন্তব্য বিচারপতির!
এছাড়াও বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলাকারী ও চাকরিহারাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, “দুই পক্ষই যেখানে ক্ষুদার্থ, সেখানে রাষ্ট্র শুধুমাত্র এক পক্ষকে খাবার তুলে দিয়ে, অন্য পক্ষকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে সেটা কখনই হতে পারে না। রাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ক্ষমতা আছে। কিন্তু রাজ্য একপেশে হতে পারে না। তাই যে কোনও নাগরিকই জনস্বার্থে এমন মামলা দায়ের করতে পারেন বলে মনে করে আদালত। এই স্কিম আসলে দুর্নীতি, চিটিং, প্রতারণামূলক কাজকে সমর্থন করার জন্য করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের বইয়ে এবার QR কোড! বড় সিদ্ধান্ত শিক্ষা সংসদের
এর আগে ৯ জুন প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছিলেন, এখনই বঞ্চিত শিক্ষকর্মীদের কোনও টাকা দেবেন না। এমনকি রাজ্যের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলেছিলেন, এত তাড়াহুড়ো কিসের? সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনও রকম আলোচনা বা স্ক্রুটিনি ছাড়াই কেন তড়িঘড়ি এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, রাজ্যের কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন তিনি। এদিন সেই মামলার রায় ঘোষণা করলেন বিচারপতি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |