কলকাতাঃ SSC, তারপর প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলা। গতকাল মঙ্গলবারই এই ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গিয়েছে এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। ৩ সপ্তাহ পর ফের মামলা উঠবে সর্বোচ্চ আদালতে। যদিও এসবের মাঝে আরও হাজার হাজার চাকরির কারচুপির তথ্য প্রকাশ্যে উঠে এল। আর এই নিয়ে জোরদার সওয়াল করলেন কলকাতা হাইকোর্টের অন্যতম দাপুটে বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
সংশয়ে ৪২ হাজার চাকরি
এবার কলকাতা হাইকোর্টের নজরে উঠে এল টেটে ৪২ হাজার চাকরির প্রসঙ্গ। এই মর্মে ২০২৬ সালের প্যানেলকেই তলব করে বসলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সেইসময়ের ৪২ হাজার চাকরি প্রাপ্তদের তালিকা চেয়ে পাঠালেন বিচাপতি অমৃতা সিনহা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বিগত কিছু সময়ে ধরে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডকে ঘিরে মুখ পুড়েছে বাংলার সরকারের। শুধু তাই নয়, প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল নিয়েও সরগরম বাংলা। এসবের মাঝে এবার হাইকোর্টের র্যাডারে ৪২ হাজার চাকরি।
২০১৬ সালের প্যানেলকে তলব
২০১৬ সালে প্রাথমিকে কারা কারা চাকরি পেলেন, কোথায় চাকরি পেয়েছে, সেসব জানতে একটি পুর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রাথমিকের নিয়োগ তালিকা তলব করা হয়েছে।
দীর্ঘ গরমের ছুটির পর ফের একবার কলকাতা হাইকোর্ট খুলেছে। আর রুটিন মাফিক রোস্টারও বদল হয়েছে। প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলি এখন অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হবে। আজ তেমনই একটি শুনানি ছিল। ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ২০১৬ সালে। এরপরেই রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে এক ধাক্কায় ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়েছিল ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। কিন্তু ২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনেন চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেই হাই কোর্টে মামলা করেন সোমনাথ সেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী।
আরও পড়ুনঃ টিকিট অতীত, এক কার্ডেই চড়ুন বাস, ট্রাম, ফেরি! উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, কোথায় পাবেন?
মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান, ‘ওই ৪২ হাজার নিয়োগের তালিকা কোথায়? কারা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়েছিলেন?’ জবাবে মামলাকারীর আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি শোনার পর অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, ‘প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও নিয়োগের তালিকা থাকা দরকার। কারা যোগ্য এবং কারা চাকরি পেলেন, তা প্যানেল থেকেই জানা সম্ভব। নিয়োগ যখন হয়েছে, প্যানেল তো থাকবেই। সেই প্যানেলই আদালত দেখতে চায়।’