প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হাতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। আর এরপরই আলোর রঙ বেরঙে সাজবে গোট রাজ্য সহ দেশ। আর এই দীপাবলির আবহে কালীঘাটে আসা অগণিত ভক্তের জন্য নতুন উপহারের প্রস্তুতি নিতে চলেছে প্রশাসন। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপুজোর আগেই উদ্বোধন হতে চলেছে কালীঘাট স্কাইওয়াকের (Kalighat Mandir skywalk)। এবং কালীপুজোর দিন থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে পুণ্যার্থীদের স্কাইওয়াকে যাতায়াত। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশি সকলে।
দক্ষিণেশ্বরের মতই নির্মিত কালীঘাট স্কাইওয়াক!
জানা গিয়েছে কালীঘাটের এই নয়া নির্মিত স্কাইওয়াক ধরে দর্শনার্থীরা মন্দিরের প্রধান ফটক পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন। দুটি প্রান্তে থাকবে লিফট এবং চলমান সিঁড়ি। আধুনিক পলিকার্বনেট শিট দিয়ে ৪৫০ মিটার দীর্ঘ স্কাইওয়াকের লোহার মূল কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। পাঁচটি গেটে থাকছে বিশেষ ধরনের চূড়া। এছাড়াও কালীঘাটে যে স্কাইওয়াকটি তৈরি করা হয়েছে তার দৈর্ঘ্য থাকছে প্রায় ৪৫০ মিটার, এবং চওড়ায় ১০.৫ মিটার। কালীঘাটে আগত পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই এসপি মুখার্জি রোড, মহিম হালদার স্ট্রিট, গুরুপদ হালদার পাড়া রোড, সদানন্দ রোড এবং কালী টেম্পল রোড— এই পাঁচটি জায়গা দিয়ে স্কাইওয়াকে প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ রাখা হয়েছে।
কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণে বাড়ল খরচ?
প্রথমদিকে স্কাইওয়াকের জন্য ৭৭ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয় কাজ। ঠিক হয়েছিল, দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। কিন্তু পরে কাজ তৈরির প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। স্কাইওয়াক তৈরি করতে গিয়ে প্রশাসনকে প্রথম থেকেই নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ওই এলাকার হকার ও ব্যবসায়ীদের সরানো হয়েছে হাজরা পার্কে। রাস্তায় মন্দির সংলগ্ন দোকানগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া, নতুন আলো এবং সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য বাড়তি এই খরচ বলে খবর। খরচ বেড়ে গিয়েছিল যা ছুঁয়েছে ৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বাতিল ১৬০ লোকাল ট্রেন, শিয়ালদা লাইনে ১৪ ঘণ্টা মিলবে না পরিষেবা
কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ স্কাইওয়াক নির্মাণের সময় স্থানীয় দোকানদারদের স্বার্থ সুরক্ষা করতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। স্কাইওয়াকের নীচে কিছু দোকানপাটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য থাকবে সিসি ক্যামেরা এবং পুরো স্কাইওয়াক জুড়ে বসানো হবে শক্তিশালী এলইডি লাইট।’’