সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল সব। সন্দেশখালীর পর ফের প্রকৃতি রণমূর্তি ধারণ করল কল্যাণী (Kalyani) মহাকুমার হরিণঘাটার বিরহী এবং হুগলির চন্দননগরে। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার ভোরবেলায় হঠাৎ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে এই দুই এলাকা। স্থানীয়রা দাবি করছে, মাত্র এক মিনিটের এই ঝড়ে বাড়িঘর থেকে শুরু করে গাছপালা, ফসল সব শেষ।
ঝড়ের তাণ্ডব কল্যাণীতে
সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট মারফৎ খবর, শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হরিণঘাটা ব্লকের বিরহী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে নারায়ণপুর সহ একাধিক গ্রামে হঠাৎ করে ঝড় আছড়ে পরে। আর এতে প্রায় ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। টিনের চাল উড়ে গিয়েছে, এমনকি কলা চাষে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে অনেকের আসবাবপত্র সহ গৃহস্থলীর সামগ্রীও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ঝড় থামার পর সকাল ১১টা নাগাদ আবার প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়, যা ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। আতঙ্কিত বাসিন্দারা বলছে, আমফানের থেকেও নাকি ভয়ঙ্কর এই ঝড়।
চন্দননগরে ভাঙল পুজো মন্ডপ
এদিকে এই আকস্মিক ঝড় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে চন্দননগরেও। নারুয়া শান্তিরমাঠ এলাকায় কয়েক সেকেন্ডের ঝড়বৃষ্টিতে গোটা গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এক পুজো মন্ডপ ভেঙে পড়েছে। এমনকি মন্ডপে লাগানো ঝাড়বাতিও খুলে পড়েছে। পাশাপাশি কিছু বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। আর গাছের ডাল তো রাস্তার উপরে ভেঙে পড়ে রয়েছেই। জানা যাচ্ছে, ভোর নাগাদ হঠাৎ করে দমকা হওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই যেন আমফানের মতো পাক খেয়ে ঝড় বয়ে যায় ওই এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ কর্তব্যরত অবস্থায় মদ খেয়ে মাতলামি পুলিশ কর্মীর, ভাইরাল শ্রীরামপুরের ইন্সপেক্টরের কীর্তি
সন্দেশখালিতে এখনও স্মৃতি তাজা
প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে একইভাবে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। মাত্র ৫০ সেকেন্ডের একটি ঝড়েই শতাধিক বাড়ি ভেঙে যায়, আর জখম হয় কমপক্ষে ৬ জন। সবথেকে বড় ব্যাপার, ৩০টি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে, আর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।