“জামা, অন্তর্বাস টেনে ছিঁড়ে দেয়…” কসবাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের শিকার আরও এক তরুণী

Published on:

Kasba Law College

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কসবা ল কলেজে গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মূল অভিযুক্ত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় একাধিক কটাক্ষ উঠে এসেছে। এদিকে সময় যত পার হচ্ছে ততই কসবা ল কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে। এর আগেও নাকি একাধিক ছাত্রী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

নির্যাতনের শিকার আরও এক তরুণী!

বছরের পর বছর ধরে একজন প্রাক্তনী হয়েও কলেজে দাদাগিরি চালিয়ে এসেছে কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। কলেজে তার প্রভাব ছিল অপরিসীম। সবাই তাকে রীতিমত ভয় পেয়ে চলত। এমনকি তার বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কেউ যদি কোনও অভিযোগ করে, ঘুরপথে সেই অভিযোগ গিয়ে পৌঁছত মূল অভিযুক্তের হাতে।

তারপর অভিযোগকারীর ওপর শুরু হত অত্যাচার। একজন অস্থায়ী কর্মী হয়েও এইরূপ অত্যাচার নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। আর এবার ল কলেজের আরও এক ছাত্রী ধৃতের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনলেন।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

ঘটনার বিবরণ তুলে ধরলেন তরুণী

কলেজের সেই তরুণী অভিযোগ করেছেন যে, দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালে একটি কলেজ পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় নাকি তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন মূল অভিযুক্ত। ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, পিকনিকের দিন নাকি মূল অভিযুক্তের আদেশে মদের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরপরই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই তরুণীর শারীরিক নির্যাতন করেছিল ধৃত। এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সম্পূর্ণ ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেছিল সেই তরুণী

পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি তরুণীকে

সাক্ষাৎকারে তরুণী জানিয়েছে যে, “ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সে শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে আমার দিকে এগিয়ে আসে। তখন তাঁকে বলি যে দাদা দরজা বন্ধ কোরো না, আমি বাইরে বেরোব। কিন্তু সে কথা অগ্রাহ্য করেই আমাকে ঠেলে ফেলে দেয়, গলার মধ্যে কামড়াতে শুরু করে, আমার শরীর নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করতে থাকে। এমনকি বুকের ভিতর হাত ঢুকিয়ে অন্তর্বাস ছিঁড়ে দেয়।” এমনকি তরুণীকে নাকি ধৃত ওই ব্যক্তি পরিবার নিয়ে হুমকিও দেয়। বাবা, মা এবং বোনকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।

আরও পড়ুন: সুকান্ত নয়, বঙ্গ বিজেপির নয়া সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য? মিলল বড় আপডেট

এছাড়াও এই তরুণী জানিয়েছেন যে, “ আমার ৩০-৩৫ সেকেন্ডের মতো জ্ঞান ছিল না, যদি তাঁর বেশি সময় অজ্ঞান থাকতাম, তাহলে আজ নির্যাতনের স্বীকার আমিই হতাম। এরপরই দরজায় কেউ এসে ডাক দেয়, তখনই তার হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলাম। আইনজীবি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় এসে কলেজেরই এক সিনিয়রের হাতে এভাবে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় আমি একদমই দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। কীভাবে তখন নিজেকে বাঁচাবেন, বুঝে উঠতে পারছিলাম না।”

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group