প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দিনের পর দিন জলের ব্যবহারের পরিমাণ শহরে যেন বেড়েই চলেছে। আগে শহরে জল সরবারহের খরচ যতটা ছিল অতীতের তুলনায় বর্তমানে সেই পরিমাণ ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তাই আশঙ্কা আগামী দিনে আরও বাড়তে চলেছে। সেই পরিস্থিতি যাতে খুব জটিল না হয় তাই কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) এবার নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে। যা ভবিষ্যতে জলের অপচয় রোধ করবে।
কী এই বাল্ক ও কমার্শিয়াল কানেকশনে মিটার?
জলের ব্যবহার রোধের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে কলকাতার কিছু এলাকায় জলের মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সে কাজের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। তাই এবার অন্য পন্থা অবলম্বন করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার পুরসভার বাজেট অধিবেশনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম শহরে জলের পরিষেবার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তাই এবার বাল্ক ও কমার্শিয়াল কানেকশনে জলের মিটার বাধ্যতামূলক করতে চলেছে পুরসভা। সাধারণভাবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে যে কী এই বাল্ক ও কমার্শিয়াল কানেকশনে মিটার। আসলে বহুতল আবাসনে জলের সংযোগকে বাল্ক কানেকশন ধরা হয়। আর কমার্শিয়াল কানেকশন হল ব্যবসা ও বাণিজ্যের কাজে জলের সংযোগ। এর মাধ্যমে বোঝা যাবে যে জল কতটা ব্যবহার করা হচ্ছে এবং জলের অপচয় কতটা হচ্ছে।
এর আগে জলের অপচয় রুখতে পরীক্ষামূলক ভাবে উত্তর কলকাতার টালা এবং দক্ষিণ কলকাতার পাটুলি সংলগ্ন এলাকায় জলের মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করেছিল পুরসভা। কিন্তু এই নয়া ব্যবস্থা নিয়ে অনেকেই আপত্তি তুলেছিল। কারণ অনেক জায়গায় মিটার চুরি যাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। তাই জলের মিটার বসাতে অনেক পরিকল্পনা করতে হচ্ছে জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকদের। এদিকে অনেকেই আবার ভাবছেন বাড়িতে জলের মিটার লাগানো মানেই ইলেকট্রিকের মিটারের মতো বিশাল অংকের টাকা সরকারকে দিতে হবে। তাই অনেকেই জলের মিটারে সম্মতি দিতে চান না। কিন্তু পুরকর্তাদের বক্তব্য, জলের অপচয় রুখতে এই মিটার খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ ‘ভবিষ্যতে লন্ডনের থেকে বেশি উন্নত হবে কলকাতা! দাবি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের
নর্দমার জল পুনর্ব্যবহারে আপত্তি জানাল বিজেপি
তবে এখনই প্রত্যেকটা বাড়ি বাড়ি জলের কানেকশনের জন্য মিটার বসানো হবে এমনটা নয়। কারণ সমস্ত জলের কানেকশনের ক্ষেত্রেই মিটার বসানোর পরিকল্পনা এখনই নেই। সেই সঙ্গেই পুরসভা গোটা বিষয়গুলি নিয়ে ময়দানে নামার আগে নানা পরিকল্পনা করতে চলেছে। সেই সঙ্গেই নর্দমার জলকে পরিশ্রুত করে গাড়ি ধোয়া ও গাছে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে পুরসভার। তবে এই নর্দমার জল পুনরায় ব্যবহার করার পদ্ধতি নিয়ে নানা কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘আমাদের আশঙ্কা, এক দিন এই নর্দমার জল শহরে পানীয় হিসেবেও ব্যবহার করা হতে পারে।’ যা নিয়ে ফের শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |