প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত সপ্তাহের শেষ দিকে হাওড়া শহরের ভাগাড়ে ধস নামার ফলে এলাকায় এক বড় বিপর্যয় নেমে এসেছিল। এদিকে গত শনিবার থেকে সেখানে জমেছে ১২০০ টনেরও বেশি আবর্জনা। নেই কোনো বিকল্প ভাগাড়ের ব্যবস্থা। যার ফলে সেই পুরোনো আবর্জনা তোলা যায়নি। আপাতত প্রতিদিনের ৬৫০ টন জঞ্জাল কলকাতার ধাপায় নিয়ে গিয়ে ফেলা হলেও আগের আবর্জনা সেই ভ্যাটেই পড়ে আছে। তার উপর পাইপলাইন ফেটে যাওয়ার দরুন জলের সমস্যা নিয়েও বেশ কয়েকদিন ভুগতে হয়েছে এলাকাবাসীকে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠছে প্রশ্ন। আর এই আবহে ফের কলকাতার ধাপায় (Kolkata Dhapa) ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কিত শহরবাসী।
ভাগার সমস্যা মেটানোর জন্য নবান্ন কে চিঠি
সব মিলিয়ে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ড। যেখান থেকে রোজ সাড়ে চার হাজার বর্জ্য এসে জমা হয় ধাপায়। আর ৫০০ টন বর্জ্য আসে সল্টলেক, নিউটাউন এবং পানিহাটি থেকে। দিনের পর দিন কলকাতার ধাপায় যদি এই চাপ বাড়তে থাকে তাহলে যে কোনওদিন ধাপায় ধস নেমে গোটা কলকাতা শহরে মারাত্মক কাণ্ড ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই আগে থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা পুরসভা নবান্নকে চিঠি দিয়েছে। জানা গিয়েছে এই চিঠির মাধ্যমে একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম জানতে চেয়েছে পুরসভা। তার সঙ্গে বর্জ্য নিষ্কাশন করতে যাতে উন্নতমানের ব্যবস্থা করা যায় তার জন্য অর্থ চেয়েছে নবান্নের কাছে। এছাড়াও জঞ্জাল ফেলার বিকল্প জমি ৭৩ হেক্টর প্লট অধিগ্রহণের চেষ্টায় আছে কলকাতা পুরসভা। তাই এর জন্য অবিলম্বে অর্থ দেওয়ারআবেদন জানানো হয়েছে নবান্নে। তাই এই গোটা ব্যবস্থা এখন নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের উপর।
চিন্তা বাড়াচ্ছে আসানসোলের ভাগারও
এই প্রসঙ্গে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলকাতা পুরসভার আধিকারিক বলেন, ‘আমরা একটি রিপোর্ট তৈরি করেছি। আর সেই রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। ওই রিপোর্ট ধাপার উপর তৈরি হয়েছে। সেখানেই উঠে এসেছে এই বিস্ফোরক তথ্য যে খুব বেশিদিন বাকি নেই ধস নামার। যদি না জমি অধিগ্রহণ করে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়।’ এর আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরে ঢোকার মুখে কেন নোংরা আবর্জনা ফেলার জায়গা থাকবে তা নিয়ে পুর কর্তাদের ধমকও দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। তার উপর আশঙ্কা বাড়ছে আসানসোলের ধাপাও।
আরও পড়ুনঃ মহাকাশে ঝোড়ো ব্যাটিং ISRO-র, ডকিং-আনডকিংয়ের পর এবার হাঁকাল ‘ছয়’
একেবারে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রয়েছে আসানসোলের ডাম্পিং গ্রাউন্ড । যেখানে আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডের আবর্জনা ফেলা হয় । প্রতিদিন প্রায় ৪০০ টন আবর্জনা এখানে ফেলা হয় বলে পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে। শেখ কর অবস্থাও বেশ শোচনীয়। এদিকে বেলগাছিয়া ভাগাড় এলাকায় গত দু’দিন ধরে ডায়ারিয়া শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছোট শিশু। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত জল থেকেই ডায়ারিয়া ছড়িয়েছে। পাইপ ফেটে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে বেলগাছিয়ার আশপাশে পর্যাপ্ত পানীয় জল মিলছে না। যদিও গত বৃহস্পতিবার আশাকর্মীরা এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নেন। কথা বলেন পরিবারের লোকেদের সঙ্গে। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র তুলে দেন। এবং পরে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরাও এলাকায় যান।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |