নির্ধারিত সময়ের আগেই ডুববে কলকাতা! ঘরছাড়া হবেন কয়েক কোটি মানুষ! ভয়ঙ্কর রিপোর্ট

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: নির্ধারিত সময়ের আগেই জলের তলায় চলে যাবে কলকাতা (Kolkata)! আপাতত রিপোর্ট তো তেমনটাই বলছে! সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের ন্যাংইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার উপকূলবর্তী এলাকাগুলির অন্তত 48টি শহর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জলের অতলে চলে যাচ্ছে।

বলে রাখি, সেই তালিকায় সবচেয়ে দুরবস্থা চিনের তিয়ানজিন শহরের হলেও ছাড় নেই কলকাতারও। হ্যাঁ, NTU তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, 2018 সাল থেকে 2020 সালের মধ্যে প্রতিবছর 0.01 সেন্টিমিটার থেকে 2.8 সেন্টিমিটার পর্যন্ত একটু একটু করে জলভাগে চলে যাচ্ছে শহর কলকাতা।

কলকাতাকে নিয়ে আশঙ্কার রিপোর্ট

সিঙ্গাপুরের ওই সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর কমপক্ষে শহর কলকাতার আড়াই সেন্টিমিটার এলাকা অল্প অল্প করে জলের তলে চলে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জলের গ্রাসে থাকা ওই এলাকাগুলিতে কমপক্ষে 1 কোটি মানুষ বসবাস করেন বলেই খবর। রিপোর্ট বলছে, আগামী দিনে ওই অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী মানুষের বিকল্প বাসস্থানের বন্দোবস্ত না হলে ভবিষ্যতে তাঁরা গৃহহীন হয়ে পড়বে।

ঠিক কোন কারণে ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাচ্ছে কলকাতা?

বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত পরিকল্পনা ছাড়াই নতুন বাড়ি-ফ্ল্যাট তৈরি, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খনিজ উত্তোলন, কোনও রকম পরিকল্পনা ছাড়াই ভূগর্ভস্থ জল অত্যাধিক খরচের প্রবণতা ও ভূমিক্ষয়ের মতো একাধিক কারণের জন্য কলকাতার ওই অঞ্চলগুলি ক্রমশ জলের তলায় চলে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ মহলে একাংশ মনে করছেন, ভবিষ্যতে ওই অঞ্চলগুলির অধিকাংশ ভাগ জলের নিচে চলে গেলে সেখানকার বসবাসকারীদের যে শুধুই এলাকাচ্যুত হতে হবে তেমনটা নয়, বরং বাড়বে ভূমিকম্পের প্রবণতাও।

বেশ কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, মূলত জনবিস্ফোরণের জন্য গৃহস্থ বাড়িতে জলের ব্যবহার বাড়ছে। একই সাথে বাড়ছে মাটির নিচে থাকা জল তোলার প্রবণতাও। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের দাবি, গৃহস্থ বাড়িগুলিতে জলের ব্যবহার বৃদ্ধি, জনবিস্ফোরণ, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খনন, পরিকল্পনাহীন বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরির মতো একাধিক কারণে 48টি শহরের মধ্যে অর্ধেক শহর দ্রুত ডুবতে চলেছে।

অবশ্যই পড়ুন: বাঁকা শটেই বাজিমাত! বাগান তারকা কামিন্সের গোলই ISL সেরা

প্রসঙ্গত, একাধিক রিপোর্ট ও সিঙ্গাপুরের ওই সংস্থার দাবি অনুযায়ী, কলকাতার পাশাপাশি বিপজ্জনক শহর গুলির তালিকায় ভারতীয় শহরের মধ্যে রয়েছে চেন্নাই, আহমেদাবাদ, মুম্বই ও সুরাট। গবেষকরা বলছেন, চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকটি শহর প্রতিবছর অন্তত 4 সেন্টিমিটার করে তলিয়ে যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে অন্তত কয়েক কোটি মানুষকে এই কারণে ঘর ছাড়া হতে হবে। জন সমাজে নেমে আসবে ভয়ানক বিপর্যয়। একই অবস্থা হবে বাকি শহরগুলিরও!