প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দীপাবলি উপলক্ষে শহর জুড়ে শব্দ বাজির তাণ্ডব! সোমবার, কালীপুজোর সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে শব্দবাজির তাণ্ডব। সেকেন্ডে সেকেন্ডে বাজির জোরালো আওয়াজে কেঁপে উঠছে চারদিক। আর সেই শব্দে ভয়ে রীতিমত ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে বয়স্ক মানুষ থেকে শুরু করে শিশুরা। এমনকি অস্থির হয়ে পড়েছে পথকুকুরেরাও। আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে চলেছেন তারা। আর এমন পরিস্থিতিতেই এবার এক পথকুকুর ঘটালো আরেক কাণ্ড। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সোজা চলন্ত মেট্রোয় (Kolkata Metro) উঠে পড়ল।
মেট্রোয় উঠে পড়ে পথকুকুর
হাজারও নজরদারি সত্ত্বেও কালীপুজোর রাতে শহর ও শহরতলিতে দাপট দেখিয়েছে শব্দবাজি। প্রতি বছর বাজি নিয়ে একই টানাপোড়েন চলে, তারপরে কালীপুজো–দীপাবলির দিনে একই ছবি। প্রত্যেক বছর রাতভর বাজির তাণ্ডব চলতে থাকে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা, পরিবেশবিদদের সতর্কতা কোনও কিছুকেই তেমন গুরুত্ব দিল না কলকাতা। কমবেশি একই ছবি রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে। এমতাবস্থায় শব্দ বাজির জোরালো আওয়াজ থেকে রক্ষা পেতে আতঙ্কিত হয়ে এক পথকুকুর কলকাতা মেট্রোয় উঠে পড়েছিল এবং আতঙ্কিত হয়ে চুপচাপ মেট্রোতে উঠে একটা জায়গায় শুয়েছিল। আর সেই ভিডিও রীতিমত সোশাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। এবার এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করল মেট্রো।
বিবৃতি প্রকাশ মেট্রো কর্তৃপক্ষের
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিল। সেখানে জানানো হয়েছিল যে, কালীপুজোর রাতে শব্দের ভয়ে অনেক পথকুকুরই আশ্রয় নিয়েছিল একাধিক মেট্রো স্টেশনে। তাদের এবং তাদের জন্য যাতে যাত্রীদের কোনো সমস্যা না হয় তা দেখা হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি কুকুর কোনওভাবে গিরিশপার্ক থেকে মেট্রোয় উঠে পড়ে। পরে কুকুরটিকে আধিকারিকরা বের করে নিয়ে যান। পাশাপাশি মেট্রোর তরফে নিশ্চিত করা হয়ছে কোনও প্রাণীরই ক্ষতি না করেই প্রয়োজনে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
আরও পড়ুন: সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি মৃত্যু মামলায় সৎমা ও বাবাকে বেধড়ক মারধর! উঠল গুরুতর অভিযোগ
উল্লেখ্য, উৎসবের দিনগুলিতে বায়ু দূষণের কথা ভেবে প্রত্যেকবার বাজি পোড়ানো নিয়ে একাধিক নিয়ম জারি করে আদালত। শুধু পরিবেশের কথা ভেবে নয় পাশাপাশি পথপুকুর বয়স্ক এবং শিশুদের কথা ভেবেও একাধিক নিয়ম জারি করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। শুধু তাই নয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর ফলে সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষেরই কানে তালা লাগার অবস্থা তৈরি হয়।