শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবাকেও যে কোনো শহরের লাইফলাইন বলা হয়। কলকাতা শহরের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। দিন হোক বা রাত, মেট্রোতে করে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ লক্ষ যাত্রী শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন কিন্তু বর্তমান সময়ে এই মেট্রো সফর করা রীতিমত যেন মহার্ঘ হয়ে গিয়েছে। সবথেকে বড় কথা রাতের দিকে মেট্রোতে অতিরিক্ত ১০ টাকা করে গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে এবার নতুন চিন্তা যেন তাড়িয়ে বেরাচ্ছে কলকাতা মেট্রো কর্মীদের। এবার মেট্রোর তরফে এমন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে যার দরুন মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে অধিকারিকদের। ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল মেট্রোর তরফে।
ভাতা বন্ধ মেট্রো কর্মীদের
কলকাতা মেট্রোর তরফ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মেট্রো কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের জন্য বর্ধিত ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা মেট্রোর তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মেট্রো কর্মীদের মধ্যে তীব্র বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন বছরের শুরুর দিকেই আর্থিক সমস্যার বিষয় তুলে ধরে কলকাতা মেট্রো ব্লু লাইন ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য লেট-নাইট সার্ভিসের জন্য ১০ টাকা সারচার্জ চালু করেছে মেট্রো।
এদিকে লেট নাইট মেট্রো মানে হল লেট নাইট অবধি থাকতে হবে কর্মীদেরও। অতিরিক্ত শিফটে কাজ করা মেট্রো কর্মীদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার পথে কলকাতা মেট্রো বলে জানা গিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি জারি মেট্রোর
এই ভাতা সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর এটি অনুযায়ী, এখন থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বিকেল চারটে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিশেষ শিফট চালু করার কথা বলা হয়েছে। এ-ও বলা হয়েছে, উত্তরে দমদম থেকে দক্ষিণে কবি সুভাষের মধ্যে প্রতিটি স্টেশনে রাতে এক জন করে শিফট ইন-চার্জের মাধ্যমে যাবতীয় দায়িত্ব সামলাতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মীকে স্টেশনের কাজ সামলানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে প্যানেল সামলানোর কাজও করতে হবে। এ ছাড়া, স্টেশনের গেট বন্ধ করার জন্য বাণিজ্যিক বিভাগের এক জন সহায়ক কর্মী থাকবেন। গিরিশ পার্ক, সেন্ট্রাল, ময়দান, মহানায়ক উত্তমকুমার এবং কবি সুভাষ স্টেশনে এক জন করে পয়েন্টম্যান রাখার কথাও বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্টেশনে বদলি করা হয়েছে বহু কর্মীকে।
এপ্রিল থেকে এই নিয়ম লাগু হবে। এদিকে এই নয়া নিয়মকে ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছেন অধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে কলকাতা মেট্রোর প্রগতিশীল কর্মী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রথমে বিভিন্ন স্টেশনের একাধিক প্রবেশপথ বন্ধ রাখা, পরে বুকিং কাউন্টার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তার পরে যাত্রীপিছু ভাড়া বাড়িয়েছেন। এ বার কর্মীদের অতিরিক্ত সময়ের টাকাও তাঁরা বন্ধ করবেন। খরচ কমানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে যাবতীয় ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছে শুধুমাত্র যাত্রী ও মেট্রোর কর্মীদেরই। কর্তাদের পরিকল্পনার ত্রুটির দায় কে নেবে?’’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |