প্রীতি পোদ্দার, কলকাতাঃ ২ মাস হয়ে গেল কিন্তু তিলোত্তমার বিচার এখনও মিলল না। এদিকে CBI এর তদন্তে শ্লথ গতি দেখে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। আপাতত আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক এর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সরাসরি সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রাই ছাড়া আর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে এখনও আশা ছাড়েনি জনসাধারণ। আর এই আবহেই গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক নির্দেশিকা জারি করল।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন!
এদিন শুনানি চলাকালীন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক বিস্ফোরক প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্য সরকারকে সিভিক ভলেন্টিয়ার এর ভূমিকা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি তথ্য পরিবেশনের নির্দেশ দিয়েছে। সেই তথ্যগুলি হল, কী ভাবে সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগ হয়? কোন কোন যোগ্যতার নিরিখে নিয়োগ হয়? নিয়োগের আগে কী ভাবে তাঁদের দেওয়া তথ্য যাচাই করা হয়? কোন কোন প্রতিষ্ঠানে সিভিক ভলান্টিয়ার আছে? সিভিক ভলান্টিয়ারকে কী ভাবে বেতন দেওয়া হয়, কত বাজেট বরাদ্দ করা হয়?
শুধু তা-ই নয়, এদিন প্রধান বিচারপতি আরও বলেছিলেন, যে রাজ্যকে হলফনামায় নিশ্চিত করতে হবে এই যে স্কুল, হাসপাতালের মতো কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা যাবে না। এমনকি, কোনও থানা এবং তদন্তের সঙ্গে জড়িত কোথাও সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়নি, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের এই নিষেধাজ্ঞার ঠিক পরমুহুর্তেই বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল কলকাতা পুলিশ।
স্কুল এবং হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরানো হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিজ এক নির্দেশিকা জারি করে। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয় যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সমস্ত স্কুল এবং হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের যেন সরানো হয়। আর সেই সূত্রে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে সবমিলিয়ে সেদিন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে বেশ চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। আর তাই কলকাতার সব হাসপাতাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।