প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শুধু বিজ্ঞানচর্চা নয়, সেই বিজ্ঞানচর্চা প্রয়োগে কোন শহর কতটা এগিয়ে, তা নিয়ে প্রতিবারই সমীক্ষা চালায় নেচার ইনডেক্স (Nature Index)। বিশ্বের বিভিন্ন শহর থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের গুণমান এবং সংখ্যার নিরিখে ক্রম অনুযায়ী এই তালিকা তৈরি করে এই নেচার ইনডেক্স। ২০২০ অর্থাৎ করোনা কালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ২০২০ সালেও একাধিক রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় তাদের সমীক্ষা। নেওয়া হয় বিশেষজ্ঞদের মতামতও। এবার সেই রিপোর্টার ভিত্তিতে উঠে এল এক দারুণ তথ্য। বিজ্ঞান শহরের প্রথম ১০০ এর তালিকায় ঢুকে পড়েছে আমাদের সকলের প্রিয় কলকাতা।
প্রথম পাঁচেই রয়েছে চীনের শহর
জানা গিয়েছে, নেচার ইনডেক্সের তরফে প্রকাশিত এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বিশ্বের ২০০টি শহর। এই তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে বেজিং। চিনের আর এক শহর সাংহাই রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম দশটির মধ্যে পাঁচটিই সকলে নিয়েছে চিন। যার মধ্যে রয়েছে নানজিং, গুয়াংঝৌ এবং উহান-ও। আমেরিকার চারটি শহর রয়েছে প্রথম দশে। নিউ ইয়র্ক ও বস্টন যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে। এ ছাড়া ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানেডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের সান ফ্রান্সিসকো এবং বল্টিমোর-ওয়াশিংটন। চিন ও আমেরিকা বাদে প্রথম দশে রয়েছে জাপানের টোকিয়ো শহর।
দেশের প্রথমে রয়েছে কলকাতা
অন্যদিকে ভারতের শহরগুলির মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ‘City of Joy’ কলকাতা। তারপরে রয়েছে বেঙ্গালুরু, মুম্বই। বেঙ্গালুরুর অবস্থান কলকাতার ঠিক পরেই অর্থাৎ ৮৫ নম্বরে রয়েছে। প্রথম একশোয় অর্থাৎ ৯৮ তে রয়েছে মুম্বই। রাজধানী দিল্লি রয়েছে ১২৪ তম স্থানে। হায়দরাবাদের অবস্থান ১৮৪। পাশাপাশি এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বিশ্বের ২০০টি শহর। কলকাতার পরে রয়েছে এডিনবরা, হেলসিঙ্কি, ম্যাঞ্চেস্টার, ব্রিস্টল, প্রাগ,ক্লিভল্যান্ড, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট, পার্থ, লিসবনের মতো শহর।
এই খবরে খুশির জোয়ার মহানগরবাসীর হৃদয়ে। বেজায় খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আসলে, কলকাতার সঙ্গে তো তাঁর নিবিড় যোগ। শহরের অনেক কিছুই তাঁর পরিকল্পনামাফিক হয়েছে। স্বভাবতই বাড়তি আনন্দ অনুভব করছেন তিনি। করোনা সময়কালে কলকাতার অবস্থান ছিল ৯৯ এ। সেখান থেকে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান পেয়ে বেশ অবাক বিশেষজ্ঞরাও।