প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কান টানতেই এগিয়ে এল মাথা! এক সপ্তাহের মাথায় অবশেষে কৃষ্ণনগরে ছাত্রী হত্যাকাণ্ডের (Krishnanagar Student Death) ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়ল দেশরাজ সিং। ইতিমধ্যেই গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মূল অভিযুক্তের মামা কুলদীপ সিংকে। আর তাঁকে জেরা করতেই দেশরাজের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সমস্ত তথ্য খুঁটিয়ে শেষপর্যন্ত যোগীরাজ্যে আজ অভিযান চালিয়ে দেশরাজকে নাগালে আনল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি এলাকা জুড়ে।
জড়িয়ে ছিল অভিযুক্তের খুড়তুতো ভাই
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট ভরদুপুরে কৃষ্ণনগরের বাড়িতে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জে গুলি করে খুন করা হয়েছিল প্রথম বর্ষের ছাত্রী ঈশিতা মল্লিককে। আর সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল প্রেমিক দেশরাজ সিং। কিন্তু ঘটনা ঘটার পরপরই পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেছিল সে। এদিকে সে দিন থেকেই দেশরাজের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। ভাড়া বাড়ি থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের বাড়ি সব জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছিল। এর আগে তদন্তের সূত্রে জানা গিয়েছিল কৃষ্ণনগরের এই হত্যাকাণ্ডটি সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। তার খুড়তুতো ভাই নীতিন প্রতাপ সিং গত ১৯ মে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া থেকে কাঁচরাপাড়ায় আসে। এবং খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র দেয় দেশরাজকে। এরপর শুরু হয় জোরালো তদন্ত।
অবশেষে ধরা পরল মূল অভিযুক্ত
সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃষ্ণনগরের ছাত্রী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুধু যে দেশরাজ এবং তার ভাই জড়িত ছিল তা নয়, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দেশরাজকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন তাঁর মামা কুলদীপ সিং-ও। এরপর একাধিক ক্লু এবং সূত্র ধরেই কুলদীপ সিংকে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ গুজরাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকালই তাঁকে আনা হয়েছে কৃষ্ণনগরে। পুলিশের কবলে পড়ে নানা জিজ্ঞাসাবাদের জেরে মুখ খুললেন মামা, আর তাঁর সূত্র ধরেই আজ অর্থাৎ সোমবার, ভোরে উত্তরপ্রদেশের গোপন ডেরা থেকে দেশরাজ সিংকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হচ্ছে কলকাতায়।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কাণ্ড মুর্শিদাবাদে! ঘুমন্ত শিক্ষকদের উপরে চড়াও ছাত্ররা, গুরুতর আহত ৫
অসাধারণ সাফল্য রাজ্য পুলিশের
কৃষ্ণনগরের ছাত্রী হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করার জন্য উত্তরপ্রদেশে, দেশরাজ নিজের ডেরায় কোথায় আত্মগোপন করতে পারে, এই সন্দেহে কৃষ্ণনগর পুলিশের আলাদা তিনটি দল সেখানে যায়। এরপর চলে চিরুনি তল্লাশি এবং তারপরই ধরা পড়ে দেশরাজ। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপি অমরনাথ কে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান যে, ”ভারত-নেপাল সীমান্তে গাড়ি করে যাওয়ার সময় দেশরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পর বড় মানসিক ধাক্কা থাকলেও ছাত্রীর পরিবার আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। আমাদের টিম খুব ভালো কাজ করেছে।” রাজ্য পুলিশের এই অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |