‘ওষুধের কমিশনে বিদেশ ভ্রমণ, মানুষের নাগালে ফি’, ডাক্তারদের পাল্টা ১৩ দফা দাবি কুণালের

Published on:

kunal ghosh

প্রীতি পোদ্দার: ১০ দফা দাবি নিয়ে এখনও আমরণ অনশনে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গে একযোগে এই কর্মসূচি চলছে। এখনও প্রশাসন চুপ। মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচলার পরেও নিজেদের অবস্থান অনড় ডাক্তাররা। এদিকে তিলোত্তমার ঘটনায় ২ মাস পার। CBI ও তদন্তে কোন সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। যার ফলে নবান্ন বনাম জুনিয়র চিকিৎসকদের স্নায়ুযুদ্ধ এখনই থামছে না। পশ্চিমবঙ্গের গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি বিঘ্নিত হয়েছে। আর এই আবহে ডাক্তারদের এই দশ দফা দাবির পাল্টা ১৩ দফা দাবি তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

পাল্টা দাবি কুণাল ঘোষের!

WhatsApp Community Join Now

গতকাল অর্থাৎ বুধবার সাংবাদিক বৈঠক এর আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ডাক্তারদের মতোই পাল্টা ১৩ দফা দাবি তোলেন। আর সেই দাবিগুলি নিয়ে রীতিমত চর্চা শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।

ডাক্তারদের কাছে তৃণমূলের ১৩ দফা দাবি

  1. সব হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক। সেই সঙ্গে ডাক্তারদের ডিউটির সময় অনুযায়ী উপস্থিতি, এবং রোগী দেখাটাও সুনিশ্চিত করতে হবে।
  2. সরকারি হাসপাতালের কাজ ফেলে সুবিধামতো ডিউটি বদলে বাকি সময় প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করা চলবে না।
  3. প্রেসক্রিপশানে একই গুণমানের কম দামী ওষুধের বদলে ওষুধ কোম্পানির প্রভাবের জন্য দামী ওষুধ লেখা চলবে না। ব্র্যান্ডের নাম করে নয়, জেনেরিক ফর্মে লিখতে হবে ওষুধের নাম।
  4. ওষুধ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম (পেস মেকারসহ) কোম্পানির স্পনসরশিপে অনুষ্ঠান, দেশবিদেশে ভ্রমণ চলবে না। কারণ ওঁরা সমাজসেবা করেন না। কমিশন, কাটমানির অভিযোগের বন্ধ/সুরাহা করতে হবে।
  5. কথায় কথায় বিভিন্ন পরীক্ষার নামে নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কেউ যেন কমিশন না নেন।
  6. ডাক্তারদের ফি যাতে মানুষের নাগালে থাকে, তার কাঠামো চাই। প্রত্যেককে রশিদ দিতে হবে। এটা সরকার করে দিক।
  7. হয় সরকারি, নইলে বেসরকারি বেছে নিন, দুটো একসঙ্গে কোনও নিয়ম দেখিয়ে চলবে না।
  8. সাধারণ মানুষের করের টাকার ভর্তুকিতে যাঁরা সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়বেন, তাঁদের সরকারি কাজেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।
  9. স্পেশালিস্ট, সিনিয়রদের ঠিকমত ডিউটি করতে হবে। লবি করে কলকাতা পোস্টিং বা জেলায় গেলেও কৌশলী রোস্টারে তিন/চার দিন কলকাতায় এসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস চলবে না। জেলার হাসপাতালকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।
  10. শূন্যপদ পূরণ হোক। পরিকাঠামো বাড়ুক। কিন্তু নিজেদের কর্মক্ষেত্রকে রোগীবন্ধু রাখার দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি ডাক্তারদেরও নিতে হবে। কারণ সরকারি কাঠামোতে দুর্বলতা দেখিয়ে রোগীকে বেসরকারিতে যেতে বাধ্য করা/টেনে দেওয়ার অভিযোগ আছে,বন্ধ করতে হবে এসব।
  11. বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তিতে বিপুল টাকা, পড়তে টাকা, সেমিস্টারে ফেল করিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে পাশ-এইসব অভিযোগবন্ধনীতে কিছু ডাক্তারও আছেন। এসবে স্বচ্ছতা ও তদন্ত দরকার।
  12. বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কিছু কোটা দীর্ঘকাল আছে। বুদ্ধবাবু-জ্যোতিবাবু জমানায় এটা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কোটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ করেছেন। কিন্তু হাসপাতালের কোটাগুলি নিয়ে বহু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সেগুলি বন্ধ হোক বা স্বচ্ছতা আনা হোক।
  13. চিকিৎসার গাফিলতিতে নির্দিষ্ট এফআইআর বাধ্যতামূলক হোক।
সঙ্গে থাকুন ➥
X