প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পুলিশের গাড়ির ছাদের ওপর উঠে বন্য নাচ! অবাক কাণ্ড বীরভূমের রামপুরহাটে (Rampurhat)। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, দশমীর দিনে মা দুর্গার বিসর্জন করা হয়ে থাকে কিন্তু এবার দর্শনীয় বৃহস্পতিবার পড়ায় অনেকেই বিসর্জন পর্ব একাদশী অর্থাৎ শুক্রবার সেরেছিলেন। কিন্তু এই বিসর্জনের আবহেই মজা এবং আনন্দের ছলে ঘটে গেল এক অদ্ভুত কাণ্ড। ক্ষুব্ধ আমজনতা থেকে পুলিশ প্রশাসন।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গত শুক্রবার একাদশীর দিন বীরভূমের রামপুরহাটে প্রতিমা নিরঞ্জন চলছিল। সেই সময় শহরে একদিকে যেমন বিদায়ের বিষাদ ও বিজয়ার খুশির এক মিশ্র মেজাজ ছিল ঠিক তেমনই চারিদিকে আলোর ঝলকানি, আর প্রতিমা নিরঞ্জন শোভাযাত্রায় ঢাকের বাদ্যি উন্মাদনা জাগিয়ে তুলেছিল সকলকে। আর সেই খুশির মেজাজে ঘটল এক অবাক কাণ্ড। পুলিশের গাড়ির ছাদে উঠে এক মহিলাকে উন্মত্ত অবস্থায় নাচ করতে দেখা যায়। আর তা দেখে হতবাক রামপুরহাট বাসিন্দারা।
পুলিশের গাড়ির ছাদে নাচ মত্ত মহিলার
শুক্রবার সন্ধ্যায় রামপুরহাটে শোভাযাত্রা চলছিল তার নিজস্ব ছন্দে। ভক্তের ভিড়, পুলিশের সতর্কতা, আর লোকজনের হাসি-আড্ডা এবং আনন্দের মধ্যে একাদশীর রাতে রামপুরহাটের কামারপট্টি মোড়ে মহিলার এমন কাণ্ড দেখে বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। অভিযোগ ঢাকের তালে তালে চলন্ত গাড়ির ওপরে ওই মহিলা বন্য নাচ করে। কখনও বসছেন, কখনও আবার ছাদেই দিচ্ছেন জোর কদমে লাথি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ ডিউটিরত পুলিশ কর্মীরা। এক মহিলা স্বেচ্ছাসেবক ওই মহিলার কাণ্ড বন্ধ করতে গেলে, গাড়ি থেকে নামতে নারাজ সে। আর তাতেই স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে শুরু হয় তাঁর সামান্য বাদানুবাদ ও হালকা হাতাহাতি।
আরও পড়ুন: ‘প্রমাণ ছাড়াই তৃণমূল, সরকারকে দোষারোপ!’ নাগরাকাটা হামলা নিয়ে মোদিকে পাল্টা মমতার
জামিন মঞ্জুর আদালতের
এরপর দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সেই সেই মহিলাকে গাড়ির ছাদ থেকে নামিয়ে আনা হলে তাঁকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে থানায় নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হলে সে স্বেচ্ছাসেবককে চড়, লাঠি এবং থুতু ছেটান। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ওই মহিলার নাম মোনালিসা মাহাতো। তবে মহিলা কেন এমন আচরণ করছেন তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট না হলেও স্থানীয়দের দাবি ওই মহিলা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
গত শনিবার রামপুরহাট আদালতে পেশ করা হয় মোনালিসা মাহাতোকে। কিন্তু আদালত ধৃত মহিলার জামিন মঞ্জুর করে। এই ব্যাপারে অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোনালিসার স্বামী জানান প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় একজন তার স্ত্রীকে কটুক্তি করেছিলেন আর তাতেই রাগের বসে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।