প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সাতসকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা দুর্গাপুরে (Durgapur)। গুড় বোঝাই একটি লরি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেল। অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা চালকের। দুর্ঘটনার দরুন কয়েক ঘণ্টার জন্য ব্যাহত হল পরিবহন ব্যবস্থা। ক্রেনের মাধ্যমে উল্টানো লড়ি সোজা করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় মুচিপাড়া ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী আজ অর্থাৎ শুক্রবার সাতসকালে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া মোড়ে উত্তরাখন্ড থেকে কলকাতা যাচ্ছিল একটি গুড় বোঝাই করা লরি। আর সেই সময় ঘটে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গুড় বোঝাই লরি ডিভাইডারে ধাক্কা পুরো উল্টে যায়। সৌভাগ্যবশত লরির চালকের কোনো বিপদ ঘটেনি। হাতে পায়ে সামান্য চোট লেগেছে, স্থানীয়দের সাহায্যে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসায় করা হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চলে আসেন মুচিপাড়া ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ।
বিস্ফোরক দাবি চালকের
চালক সাহিদ আহমেদ এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, উত্তরাখন্ড থেকে গুড় বোঝাই লরি নিয়ে তিনি যাচ্ছিলেন ডান দিকের লেন ধরে। অন্যদিকে বাঁদিকের লেনে একটি ট্রেলার যাচ্ছিল। আচমকা সেটি মুচিপাড়ার কাছে ডানদিকের লেনে চলে আসে। আর তাতেই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারায় চালক। এরপর কোনও রকমে লরিটিকে আরও ডান দিকে সরিয়ে নিতে গিয়ে বাঁকুড়ার দিকে যাওয়ার লেনে ঢুকে গিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় সেটি। ট্রেলারটি পালিয়ে গিয়েছে। কয়েক ঘণ্টার জন্য ব্যাহত হয়েছে পরিবহন ব্যবস্থা। ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, ক্রেন এনে লরিটিকে সরানোর প্রক্রিয়া চলছে। আগে লরিতে থাকা পণ্য সব নামাতে হবে। তারপর সেটি ক্রেন দিয়ে সরানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গা পুজোয় ব্লু লাইনে রেকর্ড যাত্রী! কোন দিন কত ভিড়? পরিসংখ্যান দিল কলকাতা মেট্রো
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দাউ দাউ করে জ্বলছিল চারচাকার একটি গাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি চার চাকার গাড়ি দুর্গাপুরের দিক থেকে আসানসোলের দিকে সার্ভিসিং করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখনই সেই চার চাকার গাড়িটিতে অগ্নিসংযোগ ঘটে। এদিকে এই ঘটনায় ওইদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের যান চলাচল ব্যবস্থা এমনকি রীতিমত ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কাদারোড এলাকায়। শেষে ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন ও দুর্গাপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।