প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি বাতিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে রয়েছে সমগ্র বাংলা। এই ঘটনার আঁচ দেশীয় রাজনীতিতেও পড়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলার গন্ডি পেরিয়ে এটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী সোমবার অর্থাৎ দুদিন বাদেই এই নিয়ে রয়েছে শুনানি। তবে সবার মাঝেই চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফার্স্ট বয় চন্দ্রচূড় সেন এই বিষয়ে মন্তব্য করল। তাঁর কথা শুনে সকলেই একপ্রকার স্তম্ভিত।
এখন আপনিও কি জানতে চান যে কোচবিহারের রামভোলা স্কুলের চন্দ্রচূড় শিক্ষকদের চাকরি বাতিল সম্পর্কে কী বলেছে? তাহলে বিশদে জানতে চলল রাখুন আজকের প্রতিবেদনটির ওপর।চলতি বছরে পরীক্ষার ৮০ দিন পর ফলাফল বের হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এই ফলাফল ঘোষণা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণা থেকেই জানা যায়, ২০২৪-এর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে কোচবিহারের চন্দ্রচূড় সেন।তাকে নিয়ে এখন সকলেই আলোচনা করছেন। তবে এবার এই ফার্স্ট বয় শিক্ষকদের চাকরি বাতিল সম্পর্কে বড় কথা জানালো।
চন্দ্রচূড় বলেছে, “আইন তো সবার জন্যই সমান। শিক্ষকদের যোগ্যতা বিচার করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে এক্ষেত্রে দেশের ভাবী নাগরিক হিসাবে যেটুকু আমি বলতে পারি, যাঁরা অসৎ উপায়ে শিক্ষক হয়েছিলেন, তাঁদের জন্য যাঁরা নিষ্ঠার মাধ্যমে পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষকতাকে নিজের পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর প্রভাব পড়ছে। যদি এই বিষয়টা পুর্নমূল্যায়ন করা হয়, দেখা হয়, যাঁরা বৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের কীভাবে পুনরায় চাকরি করার সুযোগ করে দেওয়া যায়। কারণ সংসারের অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা তাঁদের ওপর রয়েছে।”
উল্লেখ্য, চন্দ্রচূড় সেনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। চন্দ্রচূড়ের মার্কশিট অনুযায়ী, সে মোট ৩টি বিষয়ে ১০০-র মধ্যে একদম ১০০ পেয়েছে। দুটি বিষয়ে ৯৯, একটিতে ৯৮ ও একটি সাবজেক্টে ৯৭ পেয়েছে সে।