শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সমগ্র বাংলা। এখনো অবধি জায়গায় জায়গায় চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। আরজি কর-কাণ্ডে বাংলার অভয়া কবে বিচার পাবে? সেই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে মানুষজন। তবে এসবের মাঝেই বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিরাট রকমের পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সহ নানা জিনিসে একের পর এক পরিবর্তন ঘটছে। তবে আগামী কিছু সময়ের মধ্যেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরও বড় রকমের পরিবর্তন হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দিল রাজ্য সরকার। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কী রকমের পরিবর্তন ঘটবে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির উপর।
বদলে যাবে একের পর এক হাসপাতাল
আসলে জানা গেছে বাংলার একের পর এক হাসপাতাল বদলে যাবে। মূলত একের পর এক জেলার হাসপাতালে আগামী দিনে পরিবর্তন ঘটবে বলে খবর। কেন্দ্রের তরফে যদি টাকা পেতে হয় তাহলে কিছু বিশেষ কাজ করা নির্দেশ দেওয়া হল সরকারের ঘর থেকে। ন্যাশানাল হেলথ মিশন ষষ্ঠদশ অর্থ কমিশনের স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক অনুদান পেতে পরিকাঠামোগত বাজেট প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দিয়েছে জেলা শাসকদের।
এদিকে লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতে কেন্দ্রের তরফে এহেন নির্দেশিকা পেয়ে নড়েচড়ে বসল রাজ্য। জানা গিয়েছে, অবশেষে কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের কনসালটেশন রুম, বিশ্রাম কক্ষ, শৌচালয়, অপারেশন থিয়েটর, লিফট, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ মানুষেদর জন্য উপযুক্ত র্যাম্প ও অন্যান্য সুবিধার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। এতে করে উপকৃত হবেন গ্রাম বাংলার বহু মানুষ।
বড় নির্দেশ রাজ্য সরকারের
সব রকম পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আপাতত রাজ্য সরকার এবার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পাশাপাশি সেন্ট্রাল রেফারেল ইউনিটের পরিকাঠামো তৈরির জন্য উপযুক্ত প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে জেলা শাসক ও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখতে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সহায়কদের জন্য কোয়াটার তৈরির বাজেট সহ বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে জানাতে হবে এই ধরনের কোয়াটার কতগুলি তৈরি করতে হবে।
জেলাগুলির হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত মানের হয় সেদিকে নজর রাখার এতে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। সেইসঙ্গে হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বসার উপযুক্ত ব্যবস্থা করার নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। মহকুমা থেকে জেলা হাসাপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। অবশ্যই জেলা ও মহকুমা হাসাপাতালে মা ও শিশুদের চিকিৎসার পরিকাঠামো বিশেষ করে সদ্যজাত শিশুদের জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট তৈরির কথা বলা হয়েছে।