ষষ্ঠ পে কমিশনেও বকেয়া DA মেটাতে হবে রাজ্যকে! হাইকোর্টের নির্দেশের পরই বড় তথ্য

সহেলি মিত্র, কলকাতা: পঞ্চম বেতন পে কমিশনের পাশাপাশি এবার ষষ্ঠ বেতন পে কমিশন নিয়েও ধাক্কা খেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একদিকে যেখানে পঞ্চম বেতন পে কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, সেখানে অন্যদিকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে AICPI মেনে DA দিতে হবে ষষ্ঠ বেতন কমিশনেও? এই নিয়ে বিরাট দাবি করলেন সরকারি নেতা।

ষষ্ঠ বেতন পে কমিশন নিয়ে বিরাট দাবি সরকারি নেতার

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি কর্মচারী দেবপ্রসাদ হালদারের দায়ের করা একটি মামলার জবাবে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে বারবার আপিল করার পরেও রিপোর্টটি অনলাইনে উপলব্ধ করা হয়নি। তিনি যুক্তি দেন যে ভাতা মামলায় রাজ্য ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুসরণ করার দাবি করলেও, কোনও সম্পর্কিত নথি জনসাধারণের কাছে উপলব্ধ নয়। যাইহোক, এবার এই ইস্যুতে বিরাট মন্তব্য করলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।

তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। সেটা হলে পঞ্চম বেতন কমিশনের মতোই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় এআইসিপিআই (সর্বভারতীয় মূল্যসূচক) অনুযায়ী ডিএ দিতে হবে।

বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে সুপারিশগুলি রাজ্য বেতন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করা হোক, যাতে এটি জনসাধারণের জন্য সহজ হয়। শুনানির সময় বিচারপতি  এই বিষয়ে রাজ্যের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং পর্যবেক্ষণ করেন, “কেন এটি জনসাধারণের কাছে নেই? সুপারিশগুলি ওয়েবসাইটে কেন থাকবে না? এটি সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারি তথ্য। এর মধ্যে এত গোপনীয়তার কী আছে?”

আরও পড়ুনঃ হঠাৎ খাওয়া বন্ধ করে দিলেন বৈভব সূর্যবংশী! ছেলেকে নিয়ে চিন্তায় গোটা পরিবার

আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ ১ জুলাই নির্ধারণ করেছে এবং রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে যে ততক্ষণে রিপোর্ট যাতে প্রকাশ হয় সেটা নিশ্চিত করতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেদনকারী দেবপ্রসাদ হালদার বলেন, “রাজ্যের কর্মচারীরা প্রায় এক দশক ধরে এই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। রিপোর্টে ডিএ এবং এইচআরএ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ করার পর, প্রতিরোধের সম্মুখীন হওয়ার পর, ইউনিটি ফোরাম আইনি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।”