শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বকেয়া ও বর্ধিত হারে ডিএ (Dearness Allowance) কবে মিলবে? এই প্রশ্ন তুলে বারবার রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। শুধু তাই নয় বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের বিয়ের ফারাক হুহু করে বেড়েই চলেছে একদিকে যখন ৫৩ শতাংশ হারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ডিএ পারছেন সেখানে বাংলা সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন মাত্র ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা। ফলে বাংলা লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীদের মধ্যে ডিএ নিয়ে ক্ষোভের মাত্রা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে। আর এসবের মাঝে নতুন করে সরকারকে তুলোধনা করলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। টানলেন কেন্দ্রের প্রসঙ্গ।
ডিএ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি
এমনিতে সরকারি বিরুদ্ধে বরাবরই ফেসবুকে কিংবা জনসমক্ষে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায় 5কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়কে। এবারও সেটার ব্যতিক্রম ঘটল না। তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ডিএ-র কথা উঠলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কখনও বলেন, কেন্দ্রের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। আবারও কখনও বলেন যে রাজ্যের চাকরি ছেড়ে কেন্দ্রীয় চাকরি দিতে। কিন্তু ডিএ তো কেন্দ্রের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। এআই সিপিআই নিয়মনুসারে কেন্দ্র ডিএ দিয়ে থাকে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ২০১৭ সালের ১ জুলাইতে সব থেকে কম ১% ডিএ হয়েছিল। আবার ২০২১৯ সালের ১ জুলাই সবথেকে বেশি ৫% ডিএ দেওয়া হয়েছিল। আবার বলি এই শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না। এ আই সিপিআই নামক স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রত্যেক মাসেই তাদের মূল্যসূচক ঘোষণা করেন। তা কোন মাসে ০ শতাংশ আবার কোন মাসে ৮ শতাংশ কিংবা ১০ শতাংশ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘বলা বাহুল্য এই রাজ্যে ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম-নীতি মানা হয় না। দিয়ে প্রধানত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট পেশার দিন ৪ শতাংশ ঘোষণা করে তা ১ মে, ২০২৪ থেকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আচমকা মে মাসে প্রথম সপ্তাহে ভোট প্রচারে এক মঞ্চ থেকে তা এপ্রিল ২০২৪ থেকে কার্যকর করার কথা শুনিয়েছিলেন। এটাই রাজনৈতিক চমক। ফলে কর্মচারীদের ডিএয়ের ফারাক ২০২৩ সালের ১ জুলাইয়ে যেমন ৪০ শতাংশ ছিল, ঠিক সেভাবেই ২০২৪ সালের ১ জুলাইয়ে সেটা এক শতাংশ কমে ৩৯ শতাংশ কমে হয়েছে।’
হু হু করে বাড়ছে ফারাক
আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএয়ের ফারাক হল ৩৯ শতাংশ। যাইহোক, এখন নতুন করে বকেয়া ও বর্ধিত হারে মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। নতুন করে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর পাশাপাশি, তারপরেও সরকার যদি কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে কলকাতা শহর অবরুদ্ধ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কর্মচারী সংগঠন।