স্কুল ইন্সপেক্টরের সই জাল করে হোম লোন! মালদায় গ্রেফতার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা

Published on:

Malda

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: লোন পাওয়ার জন্য দূর্নীতিমূলক কাজ! এসআই তথা স্কুল ইন্সপেক্টরের সই, সিল জাল করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে গৃহঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করার অভিযোগ উঠল মালদার (Malda) প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে! অভিযোগ উঠতেই গ্রেফতার ‘মানিকচক ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র প্রধান শিক্ষিকার নাম সুলতানা খাতুন। রবিবার বাড়ি থেকে প্রধান শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ। যাঁরা সমাজ গড়ার কাজ করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এমন নিন্দনীয় অভিযোগ ওঠায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকেরা।

লোন নেওয়ার জন্য জাল নথিপত্র

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ৯ নভেম্বর পরিদর্শকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল মালদার মানিকচক ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা খাতুনের বিরুদ্ধে। তিনি নাকি এনায়েতপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ব্যক্তিগত লোনের জন্য আবেদন করতে পরিদর্শকের সই এবং সিল জাল করে ব্যবহার করেছিলেন। শেষে তাঁর বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় FIR দায়ের করেন মানিকচক এক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সঞ্চিতা মণ্ডল। এর জন্য বেশ কয়েকমাস আগেই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল মালদহ জেলা আদালত। কিন্তু সেক্ষেত্রে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনও অজানা কারণে এতদিন পর্যন্ত পার পেয়ে গিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের কড়া নির্দেশে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল মালদার মানিকচক থানার পুলিশ।

পরিদর্শকের সই জাল প্রধান শিক্ষকের

মানিকচক এক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সঞ্চিতা মণ্ডল অভিযোগ করেন যে, গত বছরের নভেম্বর মাসে মানিকচক ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা খাতুন এনায়েতপুরের একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে গৃহ ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন। এবং গৃহঋণের সেই আবেদন পত্রে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সিল সহ স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু কোনো এক কারণে গৃহঋণের আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি সঞ্চিতা মণ্ডল। এরপরই সেই ঋণ পাশ করানোর জন্য পরিদর্শকের সই জাল করা হয়। ব্যাঙ্কের মারফত বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। এরপর অভিযুক্ত সুলতানা খাতুনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি সহ মোট পাঁচটি ধারায় মামলা রুজু করে।

আরও পড়ুন: প্যান্ট গুটিয়ে কন্ট্রোল রুমে ফিরহাদ, অতি বৃষ্টির জেরে কলকাতায় হাই অ্যালার্ট KMC-র

অভিযোগ অস্বীকার প্রধান শিক্ষকের

এদিকে ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা সত্ত্বেও নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত সুলতানা খাতুন। গ্রেফতারি তো দূর, কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এরপর দীর্ঘ ১০ মাস পর আদালতের কড়া নির্দেশে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হল। গত রবিবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে মালদার এনায়েতপুর এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে এবং গতকাল অর্থাৎ সোমবার তাকে পেশ করা হয় মালদা জেলা আদালতে। যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করছেন ধৃত শিক্ষিকা সুলতানা খাতুন। তাঁর দাবী তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥