প্রীতি পোদ্দার, মালদা: রেশন প্রকল্পে ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ যেন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্ত জায়গায় যেন দুর্নীতির ছায়া পড়েছে। অন্যদিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় এখনও জেলবন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সঙ্গে জড়িত আরও একাধিক ব্যবসায়ী। বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্যদের বিরুদ্ধে আগেই চার্জশিট দিয়েছিল ED। সবমিলিয়ে রেশন দুর্নীতি মামলায় ব্যক্তি এবং সংস্থা মিলিয়ে মোট ২৯টি নাম চার্জশিটে জানাল ইডি। এদিকে বারংবার জামিনের আবেদন জানানো হলেও খারিজ করছে আদালত। আর এই আবহে ফের রাজ্যে ভুয়ো রেশন কার্ডের অভিযোগ উঠে এল গ্রামবাসীদের তরফ থেকে।
ফের ভুয়ো কার্ডের অভিযোগ মালদায়
ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচকের বাবুর বোনা এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ বছর ধরে চার হাজারেরও বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড বানিয়ে রেশন সামগ্রী লুঠ করেছেন রেশন ডিলার সইফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। তাঁর এই কর্মকাণ্ডে রীতিমত ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। কিন্তু ভুয়ো রেশন কার্ডের অভিযোগ সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়েছে অভিযুক্ত রেশন ডিলারের ছেলে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে।
এদিকে কিছুদিন আগে মালদাতেই ভুয়ো রেশন কার্ডের জন্য তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির রেশন ডিলারশিপ সাসপেন্ড করেছিল খাদ্য দফতর। অভিযোগ উঠেছিল যে ভুয়ো রেশন কার্ডের জন্য রেশনের সকল সামগ্রী আত্মসাৎ করেছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তবে বিরুদ্ধে প্রায় আট কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। যদিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই রেশন ডিলার।
খাদ্য সরবরাহ দফতরকে তদন্তের নির্দেশ
একের পর এক রেশন দুর্নীতি এবং ভুয়ো কার্ডের ঘটনা ঘটতে থাকায় সরিব হয়েছেন বিরোধী দলগুলি। বিজেপি কটাক্ষ করে জানিয়েছে, রেশন দুর্নীতি চক্রে জড়িত খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। তাই এর কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। তবে শাসকদল জানিয়েছে, দুর্নীতি প্রমাণ হলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাদ্য সরবরাহ দফতরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।