প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ২৬ ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল ২০২৫ এর নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন পাঠ্যক্রম হবে, সরকার অধীনস্থ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। আর এই নতুন পাঠ্যক্রমে, ক্রেডিট বেসড সেমেস্টার সিস্টেমও চালু হতে চলেছে। অর্থাৎ জানুয়ারি মাস থেকে জুন পর্যন্ত পরীক্ষা হবে প্রথম সেমেস্টার, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হবে দ্বিতীয় সেমেস্টার। সেই সময় পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর অনুমোদন ক্রমে এই নয়া মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। কিন্তু এবার সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রাইমারিতে সেমেস্টার চালু নিয়ে চরম ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাইমারিতে ক্লাস ওয়ান থেকেই সেমেস্টার চালুর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। এবং রীতিমত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধমক দিয়ে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। দাবি করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়েই নাকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েন ব্রাত্য বসু। কার্যত অসহায় দেখায় তাঁকে। এমনকি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়া নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি জানিয়ে দেন প্রাইমারিতে সেমেস্টার চালু হচ্ছে না।
ধমক দিলেন শিক্ষামন্ত্রীকে
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমি কাগজে দেখলাম প্রাথমিকে নাকি সেমেস্টার চালু হচ্ছে। এদিকে এই বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। মুখ্যসচিবকে জিজ্ঞাসা করলাম, সেও জানে না বললেন। ব্রাত্য তুমি শিক্ষামন্ত্রী, সুতরাং নতুন কোনও পলিসি চালু করার সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করো।’ পরক্ষণেই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দিদি, আমি কাগজে দেখেই মুখ্যসচিবের কাছে পাঠিয়েছি। আপনি যদি এই পলিসিতে অনুমতি দেন তবেই নোটিফিকেশন হবে।’ তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘তাহলে আগে কাগজে বেরোল কী করে? আমি কোনও কথা শুনতে চাই না। পাবলিক তো আগেই জেনে গেল। ওটা চালু হবে না।’
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আমি চাইছি বাচ্চাদের ভার কমাতে। একটা ওয়ানের বাচ্চা কি সেমেস্টার দেবে? কলেজে যেটা চলে স্কুলে সেটা কখনোই চলে না। স্কুল যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। মানুষের কাছে যে বার্তা গেছে, সেটা পাবলিক সত্যি মনে করে নিয়েছে। প্রেসকে একটা কিছু খাইয়ে দিলেই হয়। এখন নিয়ম হয়েছে নিউজ খাইয়ে দেওয়া। প্রেসকেও বলব সবকিছু বিচার করে ঠিকঠাক খবর কভার করা।’
ইস্টবেঙ্গলের ধমকেই হল কাজ? অবশেষে ডার্বি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল মোহনবাগান