দফতরে দফতরে চিঠি গেল মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে, কর্মী নিয়োগ নাকি DA বৃদ্ধি করছে নবান্ন?

Published on:

mamata banerjee

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সমকেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) বা DA এর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে চলেছে রাজ্যের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীরা। শেষবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের কর্মীদের DA বাড়িয়েছিল মাত্র ৪ শতাংশ। যার ফলে বর্তমানে কর্মীদের DA এর পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে। বহু বছর ধরে তাই পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীনে বকেয়া DA আদায়ের জন্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের বর্তমানে ৫৩ শতাংশ হারে DA দিচ্ছে। জানা গিয়েছে চলতি মাসে ফের বাড়তে চলেছে DA-র পরিমাণ। এরই মাঝে এবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে চিঠি গেল কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের থেকে।

মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে পাঠানো হল চিঠি

WhatsApp Community Join Now

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের থেকে রাজ্যের বিভিন্ন সচিবালয়ে লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট (LDA), আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট (UDA), হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সেকশন অফিসারের মোট অনুমোদিত পদ কতগুলি রয়েছে এবং সেখানে কতজন কর্মী কর্মরত রয়েছেন, সেইসব হিসেব জানতে চাওয়া হয়েছে। এবং সেই বিজ্ঞপ্তিতে এও স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে কর্মী সংখ্যার বিস্তারিত রিপোর্ট আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দফতরে জমা দিতে হবে। এই দফতর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই অন্তর্গত। যার ফলে নতুন নিয়োগ বা DA বাড়ানো নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

চিঠির পিছনে রাজনৈতিক চাল?

তবে এই ধরনের নোটিশ একদিক থেকে ভোট আদায়ের কায়দা হিসেবে অনেকেই নানা কথা বলছে। প্রশাসনিক মহলের একাংশ মনে করছে, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য প্রশাসনে নতুন কর্মী নিয়োগ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই কোন দফতরে কত সংখ্যক কর্মী প্রয়োজন, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চান তিনি। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে ভোট আসে যুব সমাজ থেকে। তাই সেক্ষেত্রে যুব সমাজের কাছে শাসকদল নিজেদের মেলে ধরতে এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে অনেকেরই ধারণা।

প্রসঙ্গত, স্টাফ সিলেকশন কমিশনের মারফত ‘গ্রুপ ডি’ পদে কর্মী নেওয়া হয়ে থাকে। এবং গ্রুপ সি-তে এলডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে ক্লার্কশিপ পরীক্ষা হয়ে থাকে। এমনকি উচ্চপদস্থ শূন্যপদগুলিতেও নিয়োগ করার ভাবনাও রয়েছে নবান্নের। তবে সবটাই হবে বিভিন্ন দফতরের রিপোর্টের ওপর। যার দরুন আশা করা যাচ্ছে সরকারী দফতরে নির্বাচনের আগেই কর্মী নিয়োগ হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X