প্রীতি পোদ্দার: চলতি সপ্তাহে কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতেই তিন দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই সম্মেলনের ফাঁকেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন তিনি। সেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল যার মধ্যে অন্যতম ছিল এই কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট। জানা গিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা, পরবর্তী প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ, এবং পরিবেশ-বান্ধব শক্তি প্রয়োগের জন্য এবং যোগাযোগ ও পাওয়ার ইলেকট্রনিক্সের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্যই এই সেমি কন্ডাক্টর প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হবে। যার ফলে কলকাতায় এবার অনেক কর্মসংস্থান হতে চলেছে।
মোদি এবং জো বাইডেনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা বাংলার জন্য একটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। এই কাজটা আমাদের ওয়েবেল তিন বছর ধরে করছে।” এই প্রকল্পে বাংলায় প্রচুর মানুষ চাকরি পাবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় যে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে, সেটার নাম হবে ‘শক্তি’। এছাড়াও গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের বৈঠকে তুলে ধরেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ এর শিল্পের কাহিনী।
নবান্নের বৈঠকে উঠে এল সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনে বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন। সেই বৈঠকে সেমি কন্ডাক্টর প্ল্যান্ট প্রসঙ্গ উঠতেই বেশ উচ্ছ্বসিত সকলে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, “আমেরিকার কনসাল জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেমিকন্ডাকটর কি ভাবে হবে না হবে সেটা নিয়েও কথা হয়েছে। ওদের কী ভাবনা-চিন্তা আছে সেই বিষয়টাও ওদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।”
এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পের উন্নতি প্রসঙ্গে বলেন, “হাওড়া, হুগলিতে জমি একদম ফাঁকা নেই। বর্ধমান রোড ধরে ফেরার সময় আমি খেয়াল করে দেখেছি রাস্তার দুপাশে কোথাও কোনও জমি খালি নেই। সব জায়গায় শিল্প হয়েছে। অর্থাৎ বাংলা এখন কৃষির পাশাপাশি শিল্পে মোড়া।” এছাড়াও তিনি বলেন, “বাংলায় শিল্প সম্মেলনের আগে একটা রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে দুবাইয়ের লুলু গ্রুপ আসছে। তাই তাদের জন্যেও জমি রেডি রাখা হয়েছে।”
স্বাস্থ্য পরিষেবায় বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর
তবে এদিনের বৈঠকে শুধু শিল্প নয় আলোচনা হয়েছিল স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও। জানা গিয়েছে রাজ্য সরকার রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের সুরক্ষা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এবং হাসপাতালের সুরক্ষায় বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স চালু করা থেকে শুরু করে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটি ব্লিডিং ও ফ্লোরে অ্যালার্মিং অ্যাপ সিস্টেম চালুর বিষয়েও মতামত প্রেরণ করেছেন।