প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কালোবাজারি না হয় তার জন্য ভারতের প্রতিটি রাজ্য ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই আবহে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নবান্নে এই বিষয়ে বৈঠক ডাকেন।
আর সেখানেই প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য এবং মাছ মাংস নিয়ে নানা রকমের আলোচনা চলে। এমনকি তিনি এদিন কালোবাজারি রুখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাজার যেমন লেক মার্কেট, গড়িয়াহাট, কালীঘাট প্রভৃতি জায়গায় হঠাৎ অভিযান চালানোর কথাও ঘোষণা করেন।
হাঁসের মাংস নিয়ে নির্দেশ মমতার
রাজ্যের বিভিন্ন হিমঘরে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আলু মজুত থাকলেও বাজারে মুরগির মাংসের সঙ্গে হাঁসের মাংসের প্রাপ্যতা ও চাহিদার মধ্যে ব্যবধান রয়েই গিয়েছে। বাজারে এইমুহুর্তে মুরগির মাংসের দাম বেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো বাজারে ২৩০ তো কোনো বাজারে আবার ২৪০ অথবা ২৫০। অথচ হাঁসের মাংস বিক্রি একদমই প্রায় বিক্রি হচ্ছে না রাজ্যে। আর এবার তাই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠকে হাঁসের মাংস বিক্রির ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।
গ্রাম বাংলায় হাঁসের মাংসের প্রচলন থাকা সত্ত্বেও শহরের বাজারে তার রমরমা খুব একটা দেখা যায় না। চিকেন এবং মটন-ই বেশি মনোযোগ দেয় সকলে। কিন্তু এবার সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সমস্যার পিছনে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে দায় করলেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”মুরগির মাংসের দাম অনেক বেশি রাজ্যে। তাই বাজারে নিয়ে আসতে হবে হাঁসের মাংস। রাজ্যে কমাতে হবে মাছ-মাংসের দাম। বাজারে আনতে হবে নিত্য নতুন ভ্যারাইটি। দেখতে হবে মানুষ কিসে সুবিধা পাচ্ছে। নিয়মিত নজর রাখা হবে বাজারে।”
আদা চাষ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এও উল্লেখ করেন যে হাঁসের মাংস ছাড়ানোর অনেক রকম কায়দা রয়েছে। আগে চামড়াটা ছাড়িয়ে নিতে হয়। তাঁর কথায়, ‘‘মুরগির পালক ছাড়ানো গেলে হাঁসেরও চামড়া ছাড়ানো যাবে। আর এই পদ্ধতি প্রত্যেক মাংস বিক্রেতারা জানে। সেক্ষেত্রে দরকার হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এই কাজে ব্যবহার করুন। অনেকে তো হাঁসের মাংস খায়। আমিও খেয়েছি।’’ এছাড়াও আদা চাষ করা নিয়েও তিনি বৈঠকে উপস্থিত ব্যবসায়ী, মন্ত্রীদের বিশেষ নির্দেশ দেন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার যেখানে আর্দ্রতা বেশি, সেখানে আদা চাষ শুরু করতে হবে। আগে পেঁয়াজ আসত নাসিক থেকে। এখন আমরাই বাংলায় পেঁয়াজ উৎপন্ন করছি। তা হলে আদার বেলায় কেন হবে না?” সুফল বাংলার দোকান নিয়েও তিনি নানা নির্দেশ দেন। বলা হয়েছে জেলায় জেলায় টাস্ক ফোর্স নিয়মিত নজরদারি চালাবে, যাতে কোনও কালোবাজারি না হয়। যাঁরা নিয়মের বিরুদ্ধে কাজ করবে তাঁদের সব জিনিস সরকার বাজেয়াপ্ত করবে।”
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |