প্রীতি পোদ্দার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও সহায়তার মাধ্যমে রাজ্যবাসীর সুস্থ, সুরক্ষিত স্বাস্থ্য গড়ে তোলার লক্ষ্যেই রাজ্যে চালু করা হয়েছ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। যার মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ মানুষ পাবেন বিনামূল্যে চিকিৎসার পরিষেবা। অর্থের অভাবে যেন কারও চিকিৎসা থমকে না থাকে, সেই উদ্দেশ্যেই এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু করে রাজ্য সরকার। একদিকে যেমন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এই কার্ড দেখিয়ে মিলবে সুবিধা তেমনই বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও এই কার্ড দেখিয়ে মিলবে বিনামূল্যে সুযোগ সুবিধা।
আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ক্যানসার চিকিৎসার খরচ। যেখানে এই প্রকল্পের আওতায় নির্দিষ্ট খরচে করানো যাবে রেডিয়েশন এবং নিউক্লিয়ার মেডিসিন থেরাপিও। আসলে কেমোথেরাপি ড্রাগসের অতিরিক্ত ব্যবহার বেড়েই চলেছে তাই সেই ক্ষেত্রে রাশ টানতেই এই কড়া পদক্ষেপ নিতে হয়েছে রাজ্যকে। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে প্রশাসন আরও নয়া চমক তুলে ধরেছে। যার ফলে বেশ উপকৃত হতে চলেছে রাজ্যবাসী।
জেলার হাসপাতালগুলিতে ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট!
আগে ক্যান্সারের চিকিৎসা করার জন্য ছুটতে হত ভিন্ন রাজ্যে। শহরের মানুষের কাছে এই যাতায়াত সহজ হলেও বেজায় সমস্যায় পড়তে হত গ্রামের মানুষদের। তবে এবার রাজ্য সরকারের এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে সেই সমস্যা দুর হতে চলেছে। এখন ক্যানসার এর মত মারণরোগ হলে বা ক্যানসারের উপসর্গ শরীরে দেখা দিলে আর কলকাতার বড় হাসপাতালে বা অন্য কোনো রাজ্যে ছোটাছুটি করার দরকার নেই। এখন থেকে নিজের জেলার হাসপাতালগুলিতেই মিলবে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বা অঙ্কোলজিস্ট।
ক্যানসার-সহ আরও ৭০ ধরনের রোগের চিকিৎসা কার্ডে!
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই উত্তর ২৪ পরগনার জেলার অন্তর্গত বারাসাত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তৈরি হতে চলেছে ক্যানসার ডিটেকশন ইউনিট বা জেলা অঙ্কোলজি ইউনিট। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে এখন থেকে ক্যানসার-সহ আরও ৭০ ধরনের রোগের চিকিৎসা করানো যাবে। কার্ডে সংযুক্ত ক্যানসার ছাড়াও আরও যে সমস্ত নয়া চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ মিলতে চলেছে সেগুলি হল রেডিওফ্রিকোয়েন্সি, রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবোলেশন, ইউএসজি গাইডেড পেরিফেরাল নার্ভ ব্লক-সহ প্রভৃতি জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা।