প্রীতি পোদ্দার: গত পরশু অর্থাৎ মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতার বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে বহু পুজোর উদ্বোধন করেছেন। নিজের মুখে তিনি অঙ্গীকার করেছেন যে মহালয়ার দিন তিনি ৩০০টির মতো পুজো উদ্বোধন করেছেন। আর ১০ অক্টোবর, দ্বিতীয়াতে তাঁর ৪০০ টি পুজো উদ্বোধনের কথা। তাইতো এই বৃষ্টি দুর্যোগের মাঝেই ভিজে ভিজেই কলকাতার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পুজো উদ্বোধন করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে জেলার পুজোগুলোতে অনলাইনে উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
উত্তর কলকাতার টালা প্রত্যয় থেকে শুরু করে ২৫ পল্লি, ৭৪ পল্লি, বেহালা নতুন দল, বেহালার বরিষা ক্লাব, অজেয় সংহতি, ৪১ পল্লি, বোসপুকুর তালবাগান, শীতলা মন্দির, বালিগঞ্জ ২১ পল্লি, আদি বালিগঞ্জ ক্লাব, আলিপুর সার্বজনীন, গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাব, কালীঘাট মিলন সংঘের মতো পুজোগুলির উদ্বোধন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই উদ্বোধনের মাঝেই ঘটল এক মন ভালো করা ঘটনা।
বাচ্চার কান্না থামাতে ঢাক বাজালেন মুখ্যমন্ত্রী!
আদি বালিগঞ্জের পুজো মণ্ডপে এদিন উদ্বোধনের জন্য যথা সময়ে এসে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখতে পান, এক মহিলার কোলে থাকা একটি শিশু খুব কাঁদছে। এগিয়ে যান তিনি। বাচ্চাটির মা জানান, ঘুম থেকে তুলে নিয়ে আসার কারণেই শিশুটি কাঁদছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী শিশুটিকে নিজের কোলে তুলে নেওয়ার জন্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে মায়ের কোল ছেড়ে শিশুটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আসেনি। ততক্ষণে তার কান্নাও থামেনি। তাই শিশুটির কান্না থামাতে মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে ঢাকের কাঠি তুলে নেন। এবং বাজাতে থাকেন। তখনও শিশুটি পিছন ফিরে মায়ের কাঁধে মাথা রেখে কাঁদছিল। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে থাকা ঢাকের কাঠি শিশুটির হাতে তুলে দিলেই শান্ত হয় সে।
এর আগেও দক্ষিণ কলকাতার বেহালায় বরিশা ক্লাবের পুজো উদ্বোধনের সময়ই মণ্ডপে অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নজরে আসে মুখ্যমন্ত্রীর। এবং তখনই তিনি সেই ব্যক্তির শুশ্রুষার জন্যে পরামর্শও দিয়ে দেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে ।