পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ ২০১৪ সালে প্রথম চালু হয়েছিল স্বচ্ছ ভারত মিশন। এরপর এক দশক কেটে গিয়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা সচেতনতা বেড়েছে ঠিকই, তবে এখনও যেখানে সেখানে থুতু ফেলে বা পান গুটখা খেয়ে পিক ফেলার মত সমস্যার সমাধান হয়নি। বহুবার মানুষের উদ্দেশ্যে প্রচার চালানো হয়েছে, কিন্তু এবার আর নয়! রাস্তাঘাটে যত্রতত্র থুতু ও পিক ফেলা নিয়ে কঠোর সসির বিধান আন্তে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
থুতু, পান ও গুটখার পিক ফেললেই মিলবে কঠোর শাস্তি
রাস্তাঘাট নোংরা করা নিয়ে ইতিমধ্যেই আইন রয়েছে বাংলায়। যদিও সেটাকে খুক একটা তোয়াক্কাই করেন না অনেকেই। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হাওড়া ব্রিজ। যেখানে একাধিক সচেতনতার বার্তা ও থুতু, পানের পিক ফেলতে বারণ করা হলেও ব্রিজের লোহার অংশগুলি ঢেকে রাখা সত্ত্বেও লাল হয়ে গিয়েছে পানের পিকে। এখানেই শেষ নয়, যেখানে সেখানে প্রস্রাব করার ফলে রাস্তার মাঝে হটাৎই বিশ্রী গন্ধের সম্মুখীন হতে হয় সাধারণ মানুষকে।
দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই ব্যবস্থাকে বদলাতে উদ্যোগী হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আজ অর্থাৎ মংলার মন্ত্রিসভার বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই মমতা বলেন, আরও কঠিন আইন আনা যায় কি না দেখতে হবে। ফাইনের অঙ্ক বাড়ানো যাবে কি না সেটা দেখার জন্য বলা হয়েছে মুখ্যসচিবকে।
কত টাকার জরিমানা হতে পারে?
যেমনটা আগেই বলা হয়েছে, যত্রতত্র থুতু, পান বা গুটখার পিক ফেললে জরিমানা হতে পারে। কিন্তু কত টাকা? ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোহিবিশন অফ স্মোকিং অ্যান্ড স্পিটিং অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ হেল্থ অফ নন-স্মোকারস অ্যান্ড মাইনর অ্যাক্ট, ২০০১ অনুযায়ী প্রথমবার ধরা পড়লে ১০০০ টাকা, দ্বিতীয়বার বা তার বেশি ধরা পড়লে ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ উড়ালপুল নিয়ে এবার বড় উদ্যোগ নিল লালবাজার! দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি সরাতে ডেক তৈরির ভাবনা
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের আইন কঠোর করার সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া দিয়েইছেন বাংলা পক্ষের মুখপাত্র গর্গ চট্টোপাধ্যায়। কটাক্ষের সুরেই তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কি সত্যিই সাহস দেখতে পারবে? বিহার, ঝাড়খণ্ড উত্তর প্রদেশ থেকে এসে যার বাংলার শিল্পাঞ্চলগুলিতে আধিপত্য বিস্তার করে অরাজকতা করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে পদখেব নিতে? থুতু-গুটখার বিরুদ্ধে আইন কড়া হবে এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই ভালো। তবে তার আগে বাইরে থেকে রাজ্যে দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে সরকারকে।