কলকাতাঃ ২৪-এর লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতে নবান্ন থেকে বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এমন এক ঘোষণা করলেন যা শুনে সকলেই চমকে গিয়েছেন। এবার বাংলায় কিনা এল ২৫,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ! কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই দিনের আলোর মতো সত্যি। শুধু তাই নয়, কর্মসংস্থানেও জোয়ার আসবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রীর তরফে।
বাংলায় ২৫,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন কী হয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি লেদার কমপ্লেক্স নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর রাজ্যে চর্ম শিল্পের হাত ধরে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হতে চলেছে তা সাফ সাফ জানিয়ে দেওয়া হল রাজ্যের তরফে। অর্থাৎ বাংলায় এখনও অবধি যারা বেকার যুবক-যুবতী রয়েছেন তাঁদের আর চাকরির জন্য হন্যে হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে না।
বড় মন্তব্য রাজ্যের
বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বড় কথা জানান মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বিষয়েই রিভিউ মিটিং ছিল বৃহস্পতিবার। মমতা এই লেদার কমপ্লেক্সের নামকরণ করেছেন ‘কর্ম দিগন্ত’ বলে খবর। এরপর সেই ক্ষেত্রে কত বিনিয়োগ হয়েছে, আর আগামি দিনে কত বিনিয়োগ আসতে চলেছে বাংলায় সে বিষয়ে সাড়া ফেলে দেওয়ার মতো তথ্য দেন আলাপন।
বানতলায় ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্সে আরও ১৮৭টি ট্যানারি এবং ১৩৯টি জুতো ইউনিট থাকবে, যাতে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে এবং আড়াই লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ‘কর্মদিগন্ত’ নামে পরিচিত এই লেদার কমপ্লেক্সের ১১৫০ একর জমিতে ৫০০টি ট্যানারি ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী ইউনিট চালু রয়েছে। কর্মদিগন্তে ইতিমধ্যেই ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা।
লাখ লাখ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা
তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বরাবরই রাজ্য সরকারের প্রধান লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি। নতুন ইউনিটগুলি চালু হলে শুধুমাত্র কর্মদিগন্ত থেকে মোট কর্মসংস্থান হবে ৭.৫ লক্ষ। বিনিয়োগ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই রফতানি বাড়বে। ‘কর্মদিগন্ত’-এ উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। তাই আমরা আলিপুর জেল মিউজিয়ামের সামনে চামড়া ও কুটির শিল্প নিয়ে একটি মল তৈরি করতে চলেছি। মলের অভ্যন্তরের পঞ্চাশ শতাংশ জায়গা ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্সে তৈরি জিনিসের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকিগুলিতে বাংলার শাড়ি এবং অন্যান্য এমএসএমই পণ্যের জন্য জায়গা থাকবে।’