সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন সমাজের সব স্তরের মানুষ। দিকে দিকে চলছে পুজো। কোথাও রয়েছে থিম পুজো তো আবার কোথাও প্রতিমা, প্যান্ডেলে রয়েছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। তবে বর্ধমানের (Bardhaman) এক পুজো মণ্ডপে এমন এক ঘটনা ঘটে গেল যেটার জন্য হয়তো কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। ‘ভূত’-এর ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন একের পর এক দর্শনার্থী। গোলাহাট প্রগতি সংঘের পুজো মণ্ডপ বন্ধ করে দেওয়া হল অষ্টমীর রাতে।
‘ভূত’-এর ভয়ে অজ্ঞান একের পর এক দর্শনার্থী
কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও। সূত্রের খবর, পুজো মণ্ডপ দেখতে গিয়ে একের পর এক দর্শনার্থী নাকি অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলেন। ফলে গতকাল মঙ্গলবার অষ্টমীর দিন বাধ্য হয়ে পুজো মণ্ডপটি বন্ধ করে দেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কমপক্ষে ৬ জন দর্শনার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর। আসলে প্রতি বছরের মতো এবছরেও এই পুজো কমিটির পক্ষ থেকে পুজো মণ্ডপের থিমে বড় চমক ছিল। এ বছরের পুজোর থিম ছিল ‘ভূতের আড্ডা’।
সূত্রের খবর, চোখের সামনে ‘ভূত’-এর আনাগোনা দেখে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায়, দর্শনার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করেন। অনেকে নাকি অজ্ঞানও হয়ে যান। যার ফলে গোলাহাটে প্রগতি সংঘ-এর পুজো মণ্ডপ বন্ধ করে দেওয়া হয় কমিটির তরফ থেকে।
কী বলছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ?
এই বিষয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ‘প্রচুর মানুষের সমাগম। যারা ভূত দেখছে আর ভূতেদের আড্ডা যারা দিচ্ছে তাঁরাও আর পারছে না। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভূতেরাও ক্লান্ত হয়ে গেছে আর মানুষও দাঁড়িয়ে থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে গেছে। আমাদের এই পুজো মণ্ডপটি উদ্বোধন করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী জয়াপ্রদা। এই ভূতেদের আড্ডা থিম করার পিছনে আমাদের লক্ষ্য ছিল বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহস জোগানো। ভূত দেখে যাতে কেউ ভয় না পায়। এগুলো দেখার পর সবার মধ্যে সাহস বেড়ে যাবে। তাঁরা বুঝবে ভূত বলে কিছু নেই। এই কারণেই আমাদের এই থিম ভাবনা।’
কী কারণে সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন? এই বিষয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘অনেকেই অতিরিক্ত ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তবে আমাদের সিভিক ভলেন্টিয়াররা সকলের মুখে চোখে জল দেয়। তারপর সবাই ঠিক হয়ে যায়।’