শিয়ালদহের ESI হাসপাতালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু এক ক্যান্সার রোগী

Published on:

esi hospital

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতাঃ আরজি কর কাণ্ডের আবহে এমনিতেই ডামাডোল অবস্থা রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায়। নিরাপত্তার দাবি সহ মোট ১০ দফা দাবি নিয়ে এখনও অনশন করে চলেছে জুনিয়র ডাক্তারেরা। পাশে রয়েছেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। এদিকে সাতসকালে শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এর সম্মুখীন হল সাধারণ মানুষ। শিয়ালদহ ESI হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন লেগে ছারখার অবস্থা। খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছেছে দমকল বাহিনী।

ঘটনাটি কী?

WhatsApp Community Join Now

পুলিশ সূত্রের খবর আজ অর্থাৎ শুক্রবার ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ আচমকাই হাসপাতালের দোতলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ঐ দোতলায় রয়েছে পুরুষ সার্জিক্যাল বিভাগ। তড়িঘড়ি বিষয়টা জানানো হয় কর্তৃপক্ষকে। আর সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হাসপাতালের একাধিক বিভাগ। দমকলবাহিনীর ১০টি ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। প্রথমেই নিরাপদে সরিয়ে ফেলা হয় ৮০ জন রোগীকে। বেশ কয়েকজনকে পাঠানো হয় মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে।

অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু এক ক্যান্সার রোগী

কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হয় এক রোগীর। উত্তম বর্ধন নামে সেই ক্যান্সার রোগী মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়েই নাকি মৃত্যু হয়েছে তাঁর দাবি পরিবারের। হাসপাতালের বিধ্বংসী আগুন নেভানোর জন্য রীতিমত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। কথা বলেন দমকল কর্মীদের সঙ্গে। তবে কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড এবং এর পিছনে শট সার্কিট আসল কারণ কিনা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ না ফেরার দেশে আরেক নক্ষত্র, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর প্রয়াত বিখ্যাত অভিনেতা দেবরাজ রায়

এই ঘটনার পরেই হাসপাতালের বহির্বিভাগ অর্থাৎ আউটডোর বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে তীব্র সমস্যার মধ্যে পড়ে যান বহু মানুষ। দূর থেকে চিকিৎসা করাতে এসেও ফিরে যেতে হয় বহু রোগীকেও। এদিকে ভয়াবহ এই আগুনের দাপটে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে রোগীসহ হাসপাতালের বহু কর্মীরা। গোটা পরিস্থিতি কত দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়, সেদিকে নজর রাখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সঙ্গে থাকুন ➥
X