প্রীতি পোদ্দার, কালিয়াচক: প্লাস্টিক গুদামে ভয়ঙ্কর আগুন মালদহের (Malda) কালিয়াচকে! গভীর রাতে পর পর তিনটি প্লাস্টিক গুদামে আগুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। আগুনের মাত্রা এতটাই বেশি যে তা কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এমনকি দমকল বাহিনী দেরীতে আসায় পুড়ে ছাই একাধিক দ্রব্য, প্রায় কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। মাথায় হাত সকলের।
ভয়ঙ্কর আগুন মালদহে
রিপোর্ট অনুযায়ী গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, গভীর রাত তখন প্রায় ১ টা নাগাদ মালদহের সুজাপুর ডাঙ্গা এলাকার পরপর তিনটি প্লাস্টিকের গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা খবর দেন ইংরেজবাজার দমকল কেন্দ্রে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় প্রথমে দুটি ইঞ্জিন। তবে আগুনের লেলিহান এতটাই বেশি ছিল যে আরও কয়েকটি দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়েছিল। এছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কালিয়াচক থানার পুলিশ। কিন্তু ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু স্থানীয়দের
ইতিমধ্যেই মালদহের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় দমকল বাহিনী এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। অভিযোগ, কালিয়াচক-সুজাপুর এলাকায় এখনও পর্যন্ত কোনও দমকল কেন্দ্র নেই। ফলে কোথাও আগুন লাগলে দমকল পৌঁছতে পৌঁছতে অনেক সময় লেগে যায়, ততক্ষণে বড় ক্ষতি হয়ে যায়। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। পোড়া গন্ধে স্থানীয়দের শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: অভিষেকের নাম নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার তোলাবাজি! গ্রেফতার ঘাটালের তৃণমূল কাউন্সিলর
ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা
উল্লেখ্য প্লাস্টিক রিসাইকেল শিল্পের রাজ্যের অন্যতম বড় কেন্দ্র মালদার সুজাপুর। সেখানে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। গুদামগুলিতে মূলত প্লাস্টিক সামগ্রী মজুত রাখা হয়। কিন্তু সেসব কিছুই রাতারাতি ছাই হয়ে গেল। সবই প্রায় আগুনে পুড়ে গেছে। কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘যদি কালিয়াচকে একটি দমকল কেন্দ্র থাকত, তা হলে হয়ত এত বড় ক্ষতি হত না। দমকল পৌঁছতে অনেক দেরি হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে।’