সহেলি মিত্র, কলকাতা: বাংলার ডিএ (DA) মামলায় নয়া টুইস্ট। আবারো একবার সুপ্রিম কোর্টে উঠতে চলেছে মামলা। কবে এবং কোন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা উঠবে সে বিষয়ে একটি নতুন তথ্য সামনে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা মামলার কজলিস্ট অনুযায়ী, আগামী ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চে ৫১ নম্বরে ডিএ মামলা উঠবে। তবে এই নিয়ে আরও বড় মন্তব্য করলেন সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
ডিএ মামলায় নতুন মোড়
মলয় মুখোপাধ্যায় ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, সিরিয়াল নম্বর ৫১ হলেও পিডিএফে সিরিয়াল ১৮ থেকে শুরু এবং সঞ্জয় কারোল সকাল থেকে দুপুর ২ পর্যন্ত ৫ নম্বর কোর্টে আমাদের ডিএ মামলা সিরিয়াল পর্যন্ত শুনবেন, তারপর ১০ নম্বর কোর্টে দুটোর পর চলে যাবেন৷ মনে হচ্ছে সকালের দিকেই মামলাটি উঠবে৷ পার্ট হার্ড ছাড়া অন্যান্য ম্যাটারগুলো ওই ৫ নম্বর কোর্টে দুপুর দুটো থেকে শুনবেন বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহেতা ।
তিনি আরও জানান, ‘তবে বলাবাহুল্য সিরিয়াল নম্বর ১৮ থেকে শুরু হয়েছে এবং মাননীয় বিচারপতি সকালে তিনজনের বেঞ্চে বসার কারণে হয়তো প্রথম দিকে মামলাটি শোনা হতে পারে৷ আমি আমাদের আইনজীবিদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সময়ে আপনাদের জানাচ্ছি৷ দেখুন এটা তো ঠিক সুপ্রিম কোর্ট এবারে DA মামলা টপে থাকবে একথা অর্ডার কপিতে নথিভুক্ত করার পরও এইরকম পর্যায়ে আসতে পারে তা ভাবতেই পারছি না৷ তাই আমাদের জানা নেই ওই দিন মামলা হবে কিনা?’ অর্থাৎ সেদিনও মামলার শুনানি হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বিভ্রান্তির শিকার কর্মচারীরা
যদিও ডিএ মামলার শুনানি নিয়ে কিছুটা হলেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বিষয় মলয় মুখোপাধ্যায় জানালেন, ‘আমরা বিভ্রান্ত শুধু নয় সমগ্র কর্মচারিরাও বিভ্রান্ত৷ তার ব্যাখা!
আরও পড়ুনঃ গর্বের খবর! ইউনেস্কোর রেজিস্টারে স্বীকৃতি পেল ভারতীয় ধর্মগ্রন্থ গীতা ও নাট্যশাস্ত্র
১) ডিএ মামলা তিন বিচারপতির বেঞ্চে কেন? সিরিয়াল নম্বর -১ ১৭ অমিট কেন? এবং মাননীয় বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ওই দিন শুধু প্রথমার্ধে ৫ নম্বর তিন বিচার পতির বেঞ্চে কেন বসতে চলেছেন?’ উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে, কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় যে তারা যেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমান হারে তাদের কর্মচারীদের ডিএ দেয়। তবে, রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে, যেখানে মামলাটি এখনও অমীমাংসিত।












