সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পুজোর ছুটির সুযোগেই বিদ্যালয় ঘটল ভয়াবহ চুরি। তাও মিড ডে মিলের চাল থেকে শুরু করে টাকা-পয়সা এমনকি বেশকিছু দরকারি সরঞ্জাম। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বরের (Tarakeswar) এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এমনকি স্কুলের পাশের এক নির্মীয়মান বাড়িতেও চুরি করেছে ওই দুষ্কৃতীরা। আর এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
স্কুল থেকেই মিড ডে মিলের সামগ্রী চুরি
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, হুগলির তারকেশ্বরের মির্জাপুর উত্তর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুজোর ছুটিতেই এই ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আলমারি সহ তিনটি বাক্স ভেঙেছিল। সূত্রের খবর, মিড ডে মিলের জন্য রাখা চার বস্তা চালসহ বেশ কিছু মূল্যবান যন্ত্রপাতি আর সামগ্রী নিয়ে তারা চম্পট দিয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়েই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে খবর দিয়েছিল।
বিদ্যালয়ে পৌঁছে শিক্ষক নব কুমার সাউ সাংবাদিক মাধ্যমকে বলেছেন, “আমার কাছে দুপুর দু’টো নাগাদ ফোন করে জানানো হয় যে স্কুলের অফিস ঘরের বেশ কয়েকটি তালা ভাঙা। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ঘটনাটি জানাই। আর স্কুলে এসে দেখলাম স্কুলের গেট সহ অফিস ঘর, এমনকি বেশ কয়েকটি রুমের তালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে দেখি আলমারি সহ বেশ কয়েকটি বাক্সের তালা নেই। ফাইলপত্র সব তছনছ অবস্থা। আর টাকা পয়সা যা ছিল সবই নিয়ে গেছে। এরপর মিড ডে মিলের রুমে গিয়ে দেখলাম সেখানকারও তালা ভাঙা। ওখান থেকে চার বস্তা চাল এবং কিছু দরকারি সরঞ্জাম চুরি গেছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের চোখে এটুকুই ধরা পড়েছে। কাগজপত্র সেরকম কিছু চুরি হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ফাইলপত্র সব ঘেঁটে তছনছ করে দিয়েছে। এখনও খোঁজ চালানো হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ নয়! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীদের জন্য কড়া নির্দেশিকা নবান্নর
স্কুলের পাশের বাড়িতেও চুরি
এদিকে শুধু স্কুল নয়, পাশের এক নির্মীয়মান বাড়িতেও তারা চুরি করেছে বলে খবর। ওখান থেকেও বেশ কিছু নির্মীয়মান সামগ্রী যেমন ইট, সিমেন্ট, রড ইত্যাদি চুরি গেছে বলে স্থানীয় রিপোর্ট দাবি করছে। জানা যাচ্ছে, পুজোর ছুটিতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা। আর এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই তদন্তে নেমে পড়েছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন, “স্কুল পড়াশোনার জায়গা। আমাদের ছেলেমেয়েরাও এখানে পড়াশোনা করে। তবে এখানেই চুরি, সত্যিই ভাবা যায় না। নিন্দনীয় আর লজ্জাজনক ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়। পুলিশ সবকিছু দেখে গিয়েছে আর সবকিছু শুনেছে। তারা তদন্ত করছে। সবটা তাদের উপরে নির্ভর করছে এখন।”