‘ন্যূনতম বেতন ১৫ হাজার না করলে!’ রাজ্য সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি আশাকর্মীদের

Published on:

Asha workers

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ফের বাংলার রাজপথে একবার শোনা গেল আশাকর্মীদের (Asha Workers) প্রতিবাদী কন্ঠ। সোমবার সকাল হতে না হতেই সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ বসেন রাজ্যের একাধিক জেলার আশাকর্মীরা। তাদের গলায় একটাই সুর, ন্যূনতম ভাতা ১৫ হাজার টাকা করতে হবে। স্থায়ী কর্মী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। নাহলে ২২শে আগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে অভিযান করা হবে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

আর এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের আশাকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুন। তার গলায় একাধিকবার সুর ভেসে এসেছে, “আমরা একাধিকবার দাবি জানিয়েছি। ১৮ই মার্চ এসেছি। ২৮শে মার্চ এসেছি। আজ আবার এসেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাজ্যের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আমাদের দাবি, ভাতা নিয়মিত ও সঠিক সময় দিতে হবে এবং অতীতের সব বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে।”

আশাকর্মীদের মূল দাবিগুলি কী কী?

বর্তমানে আশাকর্মীরা মাসে মাত্র ৫২০০ টাকা ভাতা পায়। আর এই টাকায় সংসার চালানো কার্যত দায় হয়ে পড়ে। নেই কোনো নির্দিষ্ট ছুটি, নেই পিএফ কিংবা ইএসআই এর সুবিধা। আর এই প্রেক্ষিতেই তাদের মূল দাবি, মাসিক ভাতা ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি কর্মী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট ছুটি দিতে হবে, পিএফ এবং ইএসআই চালু করতে হবে। শুধু তাই নয়, কর্মরত অবস্থায় যদি কারো মৃত্যু হয়, তাহলে পরিবারের হাতে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিতে হবে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

রাজ্যের আশাকর্মীদের বর্তমান অবস্থা

বর্তমানে বাংলায় প্রায় ৭০ হাজার আশাকর্মী যুক্ত রয়েছেন। করোনা মহামারীর সময় থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে তাদের ভূমিকা অসামান্য। আর সেই পরিশ্রমের কোন দামে দেয়নি রাজ্য সরকার, এমনটাই তাদের অভিযোগ।

পরবর্তী পদক্ষেপ

এই আন্দোলন এখানেই থামিয়ে রাখেননি আশাকর্মীরা। তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, “সরকার যদি তাদের দাবি না মানে, তাহলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর কর্মবিরতির পথে হাঁটবেন। পাশাপাশি ২২শে আগস্ট কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে অভিযান করা হবে।” হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এর ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় বড়সড় মোড় ঘুরতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। 

রাজ্যের প্রান্তিক স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরা, যারা দিনের পর দিন কালঘাম ছুটিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন, তাদের চাওয়া পাওয়ার এই দাবি রাজ্য সরকার কতটা মেনে নেয়, এখন সেটাই দেখার।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group