প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বীরভূমে (Birbhum) দেখা মিলল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিসাইলের! তাও আবার অজয় নদে! অবিশ্বাস্যকর এই ঘটনায় মিসাইল দেখতে যেমন ভিড় জমেছে, তেমনই ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এদিকে আবার মিসাইলের আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকাতেও। তবে সেটি আদেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিনা প্রশাসনের তরফে তা সঠিকভাবে জানানো হয়নি, তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অজয় নদে মিসাইল!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, সকালে বীরভূমের নানুর লাউদহ এলাকায় অজয় নদে মাছ ধরতে যান বেশ কয়েকজন স্থানীয় মত্স্যজীবী। জাল ফেলার জন্য যখন তাঁরা অজয় নদে নামেন, তখনই তাঁদের মধ্যে থাকা এক মত্স্যজীবীর পায়ে ভারী কোনও বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা লাগে। কী সেই বস্তু তা জানার জন্য অজয় নদের তীরে শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি। আর সেই জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করতেই বেরিয়ে আসে এক বড় মিসাইল। আকারে এই বস্তুটি যেমন বড় ঠিক তেমনই বেশ ভারী।
এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ!
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছে এই মিসাইল সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের। কিন্তু সেটা নিয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এদিকে হঠাৎ করে এমন অচেনা বস্তু এলাকায় দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। অনেকেই কৌতূহলবশত সেই ধাতব জিনিসটি দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন এলাকায়। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয় বোলপুর থানায়। মিসাইলের খবর মিলতেই হুড়মুড়িয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ধাতব বস্তুটিকে নিজেদের দায়িত্বে নিয়ে নেয় পুলিশ। ঘিরে ফেলা হয় গোটা অজয় নদের চত্বর। বোম্ব স্কোয়াডের বিশেষজ্ঞরাও এসেছিল সেখানে।
আরও পড়ুন: নাবালিকার শ্লীলতাহানি! অভিযুক্তের যৌনাঙ্গে বিছুটি পাতা ডলে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরাল জনতা
অজয় নদে এইরূপ মিসাইল খুঁজে পাওয়া নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “অজয়কে নিয়ে গবেষণার সময় দেখা গেছে বন্যার জলের স্রোতে অনেক কিছুই এসে জমা হয়। বহুবছর নদীর বালির নিচে পড়ে থাকার পর ভেসে উঠেছে এ ধরনের বহু জিনিস। তবে বস্তুটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিহাসের হদিশ দিচ্ছে।” অর্থাৎ বোঝায় যাচ্ছে এই নদী থেকে আগামী দিনে আরও অন্যান্য পুরনো ইতিহাসের সাক্ষী পাওয়া যেতে পারে।